বন্দর প্রতিনিধি:
বান্ধবী বাড়িতে বেড়াতে এসে (২৩) বছরের এক বাউল শিল্পী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ওই সময় ধর্ষকসহ ধর্ষনের সহায়তাকারিরা ধর্ষিতাকে সারা রাতভর শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, ৫ আনা ওজনের একটি আংটি ও ১টি নাকফুল জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাউল শিল্পীর মা বাদী হয়ে রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বান্ধবী ও তার স্বামীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২১(৮)২৪ তাং- ২৫-৮-২০২৪ইং।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর ৫টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের বন্দর চিতাশালস্থ মুকুট বেগমের মালিকানাধীন ২য় তলা বিল্ডিংয়ের ২য় তলার একটি ভাড়াটিয়া রুমে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষার শেষে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।

ধর্ষন মামলার আসামীরা হলো বন্দর রাজবাড়ি বালুর মাঠ এলাকার কাজী আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে ধর্ষক সজিব (৩৫) বন্দর কবরস্থান রোড প্রধান বাড়ি এলাকার রাকিব প্রধানের স্ত্রী রিমি বেগম, তার স্বামী রাকিব প্রধান ও বন্দর কবরস্থান রোড এলাকার আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে হাসিবুল প্রকাশ ওরফে পিচ্ছি। ধর্ষনের ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ধর্ষকসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।

মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, ঢাকা কেরানীগঞ্জ থানার মান্দাইল এলাকার মিন্টু মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া বাদল মিয়ার মেয়ে পেশায় একজন বাউল শিল্পী। গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাউল শিল্পী (২৩) ও ঢাকা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার আমিনপাড়া কালিগঞ্জ এলাকার সিরাজ মিয়ার মেয়ে বান্ধবী তানিয়াকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ বাউল সমিতিতে গান করার জন্য আসে।

তারা প্রোগ্রাম শেষ করে বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর ৬টায় বন্দর থানার চিতাশাল জনৈক রবিনের বোন মুকুট বেগমের ২য় তলা ভবনের ২য় তলা ভাড়াটিয়া ও বাউল শিল্পী বান্ধবী রিমি বেগমের বাসায় বেড়াতে আসে। বাউল
শিল্পী ও তার ঢাকা থেকে আগত বান্ধবী তানিয়া বন্দরে বান্ধবী বাড়িতে অবস্থান কালে ওই দিন সকাল ৮টায় তানিয়া তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে বাউল শিল্পী রিমি বেগমের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার সময় লম্পট সজিব ও তার সহযোগী হাসিবুর প্রকাশ পিচ্ছি রিমিদের বাড়িতে আসলে ওই সময় বাউল শিল্পীকে তার বান্ধবী রিমি তাদের সাথে আড্ডা দিতে ও মাদক সেবন করতে বলে। ওই সময় বাউল শিল্পী মাদক সেবনে অপারগতা প্রকাশ করলে বান্ধবী রিমি ও তার স্বামী রাকিব প্রধান ক্ষিপ্ত হয়ে বাউল শিল্পীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে তার সাথে থাকা বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত (২২ আগস্ট) ভোর ৫টায় বান্ধবী রিমি তার স্বামী রাকিব প্রধান ও হাসিবুর প্রকাশ ওরফে পিচ্ছি সহায়তায় লম্পট সজিব বাউল শিল্পী ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সামাদ জানান, বাউল শিল্পী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষকসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *