বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর টাকলা মাছুম বাহিনী কর্তৃক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে আটক রেখে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী নেট ব্যবসায়ী বাবলু সরকার, বাদী হয়ে চাঁদাবাজ টাকলা মাছুম, আলভী, মন্টু মিয়া, সিয়াম ও বিজয়সহ অজ্ঞাত নামা ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর শাহীমসজিদ মোড়ে চাঁদা দাবির ঘটনাটি ঘটে। এদিকে স্থানীয় চাঁদাবাজরা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী কাছ থেকে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বন্দর থানার শাহীমসজিদ নূরবাগ থেকে র্কোটপাড়া পর্যন্ত ইন্টারনেট লাইনের ক্যাবল, অনুর বক্স কেটে নিয়ে যায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭/৭/২০২৩ ইং তারিখে বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাজ্জাত হোসাইন অপূর্ব নিকট থেকে বন্দর থানাধীন শাহীমসজিদ নূরবাগ হইতে বন্দর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবসার লাইনসহ ব্যবসায়ী মালামাল ক্রয় করে দীর্ঘ দিন ধরে এম ওয়ান নেট সার্ভিসের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত মোস্তফা সরকারের ছেলে বাবলু সরকার ।

গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারে পতনের পর থেকে যুবলীগ নেতা টাকলা মাছুম পর্দার অন্তরালে থেকে তার হুকুমে তার পালিত সন্ত্রাসী বন্দর বাজার এলাকার সন্ত্রাসী আলভী ও তার পিতা মন্টু মিয়াসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য উস্কানি দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বাবলু সরকারকে শাহীমসজিদ এলাকায় আটক করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী পিতা/পুত্র তাদের সহযোগীরা। ওই সময় নেট ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ইন্টারনেট ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

এর ধারাবাহিকতা সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে পলাতক যুবলীগ নেতা টাকলা মাসুমের হুকুমে চাঁদাবাজ আলভী ও তার পিতা মন্টু মিয়া, মাহামুদনগর এলাকার সিয়াম ও বন্দর বাড়িপাড়া এলাকার মিজান মিয়ার ছেলে বিজয়সহ অজ্ঞাত নামা ৯/১০ জন সন্ত্রাসী উল্লেখিত স্থান থেকে ইন্টারনেটে লাইনের ক্যাবল ও অনুসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *