বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো মা কহিনূর বেগম (৪৫) ভাই কবির হোসেন (৩০) ভাবি লতা বেগম (২৫) ও প্রতিবেশি আমান উল্ল্যাহ (৩৫)। স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় বিথী বেগম বাদী হয়ে শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে মহিলাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এর আগে গত শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত ১০টায় বন্দর থানার পুরান বন্দর চৌধূরীবাড়ী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরদর্শন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুরান বন্দর চৌধূরীবাড়ী এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী বিথী বেগমের সাথে একই এলাকার মুছা মিয়া ও তার স্ত্রী মালা বেগমের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দর্ীঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত ১০টায় ১নং বিবাদী মুছা মিয়ার ছেলে বাদিনী বসত বাড়ি সামনে প্রস্রাব করে।

বাদিনী উক্ত প্রস্রাব পরিস্কার করার কথা বলিলে ওই ১নং বিবাদী মুছা ও ৩নং বিবাদী মালা বেগম একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ৩নং বিবাদী লিটু মিয়া ও তার স্ত্রী মাহামুদা বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাদিনী উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

ওই সময় ৩নং বিবাদী মালা বেগম ও ৪ নং বিবাদী মাহামুদা বেগম বাদিনী গলায় থেকে ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বাদিনী চিৎকারের শব্দ পেয়ে বাদিনী বিথী বেগমের মা কহিনূর বেগম, ভাই কবির হোসেন ভাবি লতা বেগম ও প্রতিবেশী আমান উল্ল্যাহ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় ১নং বিবাদী মুছা ও ৩নং বিবাদী লিটুসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উল্লেখিত ৪ জনকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ও লাঠীসোটা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *