নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ এসে আবাসিক চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে আটক করে। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।

নিহতের বাবা আমানত উল্লাহ বলেন, ‘আমার মেয়ের টনসিলের চিকিৎসার জন্য সিলভার ক্রিসেন্ট হসপিটালে ভর্তি করি। ভর্তির পরে নানা টেস্ট দেন হাসপাতালের গেস্ট (অতিথি) চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে তিনি জানান, টনসিলের অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করার জন্য ৮০ হাজার টাকা চুক্তি হয়।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ের অপারেশন করেন তিনি। অপারেশনের পর ডাক্তার মেয়েকে কিছু খাওয়াতে নিষেধ করেন। রাত ৩টার দিকে ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে নার্সদের সঙ্গে কথা বলি। তখন তারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ইনজেকশন দেয়। ১ ঘণ্টা পর আবার ব্যথা উঠলে আবার ইনজেকশন দেয়। আজ সকালে ৯টার দিকে আমার মেয়ের হাত-পা নীল হয়ে যায় এবং ব্যথায় ছটফট করতে করতে মারা যায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের বলেন,জরুরি সেভা ৯৯৯ এ কল পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, স্টাফসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *