শাহরিয়ার ইসলাম সৌরভ
নারায়ণগঞ্জ সদর

বড় আন্দোলনে যাওয়ার আগে দলের ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে ঢেলে সাজাতে চায় বিএনপি। ছাত্রত্ব ও রাজপথে সাহসী-এই দুইয়ের মিশেলে নেতৃত্ব তৈরি করাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও দায়িত্বশীলরা।

সিন্ডিকেট এর কারনে আজকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল বেহাল অবস্থা যার প্রভাব পড়েছে ২৮ অক্টোবরের পর ও সরকারের পতন থেকে চলমান হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে। সর্বশেষ এই আন্দোলনে হাতেগোনা স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মী হরতাল-অবরোধের সমর্থনে রাজপথে স্বল্প সময়ের কিছু ঝটিকা মিছিল করেন। পরে তার সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই সময়ে বড় কোনো মিছিল-বিক্ষোভ কিংবা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ছাত্রদল।

এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আত্মসমালোচনাও আছে নেতাকর্মীদের। কর্মসূচি পালনে এলোমেলো চিত্র চোখে পড়ে সবখানে। এ অবস্থায় ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে।

সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান দোলন বলেন, এর আগে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতটা আক্রমণাত্মক ছিল না। সরকারের চেয়ে বেশি উৎসাহী হয়ে তারা দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এত গ্রেফতার-নির্যাতন আগে দেখা যায়নি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছাত্রদল চেষ্টা করেছে। হয়তো শতভাগ সন্তুষ্ট কিংবা প্রত্যাশামাফিক হয়নি। অবরোধ ও ৫ আগস্ট এর সময় মৃত্যুর সাথে লড়াই করে রাজপথে ছিলাম আমার নেতা মশিউর রহমান রনির নেতৃত্বে, দলের হাইকমান্ড যেটা ভালোভাবে দেখবে সেটাই মুল্যায়িত করা হয়।

তিনি বলেন, আশা করি রাজপথের সাহসী ও যোগ্যরাই সামনে নেতৃত্বে আসবে। দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়ই সবকিছু দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তা পালনে।

রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন স্বৈরাচারী সরকার পতনের আগ মুহুর্তে আমরা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেছি, একটা দিন বাসায় ঘুমাইতে পারিনাই, অক্টোবর এর অবরোধ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লড়াই করে গেছি আমরা এই স্বৈরাচারী সরকার এর বিরুদ্ধে, আমাদের নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু ভাই এর নির্দেশ এ প্রতিটি কর্মসুচি সফল ভাবে পালন করেছি আমরা, আমি আশা করি কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দরা ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে।

সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন নেতৃত্বে কারা আসবেন তা হাইকমান্ডই ভালো বলতে পারবে। আশা করি দিনশেষে মাঠের যোগ্য ও সাহসী নেতারা মূল্যায়িত হবেন। তাদের মনে রাখতে হবে এই জালিম সরকার কে বিদায় এর জন্য ছাত্রদলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অনেক ভুমিকা ছিলো তাদের যেনো সেই মূল্যায়ন করা হয়।

সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, আমরা সবসময় চাই বর্তমান ছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে। কিন্তু এখানে নানা বাস্তবতা জড়িত থাকে। সবকিছু বিবেচনা করতে হয়। আর বিশেষ করে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে চাইলেও সব প্রক্রিয়া মেনে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা যায় না। কাউন্সিল করতেও একটি ন্যূনতম পরিবেশ লাগে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির পর নতুন নেত্বত্ব আসা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। এই নেতা মনে করেন, আন্দোলনে এককভাবে ছাত্রদলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। তারা দায়িত্ব পালনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু ছাত্রদল নেতাকর্মী কারাগারে ও বর্ণনাতীত নির্যাতনের শিকার। এই জালিম সরকার এর পতনের অনেক ভুমিকা পালন করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমি আশা করি যোগ্যদের কে মূল্যায়ন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *