আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেঈমান ও খুনি মোস্তাক গং চক্রের আদলে বিশ্বাসঘাতক চক্রের আবির্ভাব ঘটেছে। জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে বাঙ্গালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোস্তাকের দোসররা। এরই ফলশ্রুতিতে ১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির জীবনে কলঙ্কময় অধ্যায়। ওদিকে সেই একই বিশ্বাসঘাতক চক্র এক্সটেনশান হয়ে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কালোরাতে জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে জেল হত্যাকান্ড ঘটিয়ে জাতীর জীবনে চাপিয়ে দেয় আরেক কলঙ্কময় অধ্যায়। এদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, এই দিনে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে হারিয়েছি- ৩ নভেম্বর জাতীয় জেল হত্যা দিবস এই দিনে আমরা জাতীয় চার নেতাকে হারিয়েছি। প্রশ্ন কাদের জন্য ? যারা ক্ষমতার লোভে দল, নেতা এবং নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তাদের জন্য। স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালে এসে রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে ১৯৭৫ সালের খন্দকার মোস্তাক গং আদলে বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক (দুস্টু) চক্রের আর্বিভাব ঘটেছে। রাজনৈতিক আদর্শ,নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নিজেদের স্বার্থে সংগঠন নষ্ট করে এরা ক্ষমতার স্বাদ বা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট করে টাকার কুমির হতে চাই। মোস্তাক গংয়ের উদ্দেশ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা, আর এদের উদ্দেশ্যে এমপি ফারুক চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করে পদ বাণিজ্যসহ লুটপাট করা। যারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশের মানুষের ক্ষতি করেছিল তারা ছিল তাদের কাছের মানুষ, আবার যারা এমপির ক্ষতি করতে চাই তারাও এমপির কাছের মানুষ,পার্থক্য শুধু বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা ওইসব কুলাঙ্গারদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারেনি,তবে এমপি ফারুক চৌধুরী এসব কুলাঙ্গারদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে রামায়ণী চাঁটি দিয়ে বিতাড়িত করেছে। তানোর-গোদাগাড়ীর জনবহুল স্থানে ২০-৫০ জন আদর্শিক নেতাকর্মী নিয়ে চা পান করার মতো অবস্থান এসব কুলাঙ্গারদের নাই। অথচ এরা বহিরাগত একশ্রেণীর ভাড়াটিয়া আঁচু-পাঁচু নেতা নিয়ে দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকার আনাচে-কানাচে দলীয় কর্মসুচির নামে এমপি ও তার প্রয়াত শহীদ পিতা এবং আওয়ামী লীগের নামে মিথ্যাচার করে দলীয়কোন্দল সৃস্টির অপপ্রয়াস করছে। তবে এসব ভাড়াটিয়া পাঁচু নেতার নিজের এলাকায় কোনো অবস্থান নাই এরা বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করছে, যদিও পবা-মোহনপুর, পুঠিয়া-দুর্গাপুর ও গোদাগাড়ী ভাড়াটিয়া বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীর গণধাওয়ার শিকার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও কুলাঙ্গার বলে পরিচিত এরা সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকেও সাংগঠনিক কোনো কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেনি জামায়াত-বিএনপির কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা
ইত্যাদি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকাতে কাজ করেছে। এমনকি রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করতে এমপি ফারুক চৌধুরীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্ত্ত গণমানুষের নেতা এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দুরদর্শীতার কাছে তারা বার বার পরাজিত হয়েছে। তবে এখানো তারা নিরাশ হয়নি তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে এরা এতোটাই দেওলিয়া যে জনগণের ওপর তারা কোনো আস্থা বা বিশ্বাস না রেখে উপজেলা পর্যায়ের এক বিতর্কিত সরকারী কর্মকর্তার আর্শিবাদ নিতে দলবল নিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় গিয়ে তালিম নিয়েছে। আর সেই কর্মকর্তা পাথর বাবার পানি পড়া দিয়ে তাদের আর্শিবাদ করে ছবক দিয়েছে আগামীতে তারাই আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণ করবে, আর মুলধারা ও এমপি অনুসারীরা রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বে। এদিকে এমন ছবক পেয়ে এরা ফুরফুরে হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। কেউ কেউ বলছে, দীর্ঘ প্রায় দু’দশক এরা এমপির দুই বগলের নিচে থেকে লেবেন চুষা করে চুষে এখন এমপিকেই আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী আঙ্খা দিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে ২৯ বছর পর তাদের কেনো মনে হলো এমপি খারাপ,আর দেশের এমপি নির্ভর রাজনীতিতে তারা এমপির বিরোধীতা করে কি বোঝাতে চাচ্ছেন। আসলে এরা রাজনৈতিক অবার্চীন যেখানে দেশের রাজনীতি করে ৩০০ জন এমপি আর তাদের নিয়ন্ত্রণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাহলে এরা এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নৌকার বিরোধীতা করে কার আদর্শ বা রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। স্থানীয়রা আরো জানান, তানোর ও গোদাগাড়ী জামায়াত-বিএনপির দুর্গে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে পাশে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশী এলাকায় উন্নয়নের জন্য দিন রাত কাজ করে চলেছে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। অথচ ভাড়াটিয়া বহিরাগত আঁচু-পাঁচু
নেতা নিয়ে এসে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তারা বলেন, নেতারুপী এসব কুলাঙ্গারদের বলতে চাই বহিরাগত নেতা এনে লাভ নাই । নেতারুপী এসব কুলাঙ্গার ক্ষমতালোভী তারা শুধু ক্ষমতা চাই তবে সংগঠন ছাড়া এটা সম্ভব নয় সেটা তারা বোঝে না। তারা কি ভাবেন তারা মহান নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করলেই তাদের
ক্ষমতা দেয়া হবে। সামনে যখন পদ হারানোর ভয় ঠিক তখোনি বহিরাগত ভাড়াটিয়া পাঁচু নেতা নিয়ে এসে মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেটা কার বিরুদ্ধে তারা কি সেটা বোঝেন-? ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে যারা দলের বিরুদ্ধে, নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেতে পারে তার আর যাইহোক বঙ্গবন্ধু,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সৈনিক হতে পারে না। এরা রাজনৈতিক ভাবে চরম দেউলিয়া হয়ে পড়েছে তানোর-গোদাগাড়ীর মাটিতে এদের স্থান হবে না, তৃণমুলের নেতাকর্মীরা সেটা হতে দিবেন না। তৃণমুলের এসব নেতাকর্মীরা দেখতে চাই আওয়ামী লীগের শক্তি বা জনপ্রিয়তা বেশী না এসব রাজনৈতিক বেঈমান কুলাঙ্গারদের শক্তি বা জনপ্রিয়তা বেশী।
