ইন্দ্রজিৎ টিকাদার
বটিয়াঘাটা (খুলনা )প্রতিনিধি:
বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের টালিয়ামারী এলাকায় বোর মৌসুমে রোপনকৃত ধান চুরি করে কাটতে এসে ধরা খাওয়ার পর ভূয়া বর্গাদার সেজে চোর জমি মালিক ও প্রকৃত বর্গাদরের নামে মিথ্যা কাউন্টার মামলা করার অভিযোগ উঠছে।
এ ব্যাপারে খোজ নিয়ে জানাজায় ভুক্তভোগী মোঃ আক্তার হোসেন বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত বারী সরদারের পুত্র সেলিম জাহাঙ্গীর ওরফে বুলু(৫৭), আলতাফ শেখের পুত্র সাইদ শেখ(৫২), ইমাম শেখের পুত্র রেজাউল শেখ(৪২), মৃত তৈয়ব আলী শেখের পুত্র জাহাঙ্গীর শেখ(৫০), ছিদ্দিক মোল্যার পুত্র হালিম মোল্যা(৫০), মৃত আফসার মোল্যার পুত্র আকোব্বর মোল্যা(৪৮), উসমান মোল্যার পুত্র জাকির মোল্যা(৪৬), রোফিকুল মোল্যা(৪২), আমির খাঁর পুত্র জাফর খাঁ(৪৯), হালিম মোল্যার পুত্র আমির হামজা সহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে থানায় পেনাল কোড ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬, ১১৪ ধারায় ১৫ নং এজাহার দায়ের করেন। তারিখ ২৭/০৪/২০২৩। এজাহার সূত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত জমি মনিরুল শেখ ও আছাদ শেখ এর নিকট বর্গাচাষ করতে দেয়।
ঐ জমিতে গত ২০/০৪/২০২৩ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫.৩০টার সময় উপরোক্ত আসামীগন বেআইনী ভাবে অনধিকার প্রবেশ করিয়া অপরিপক্ক কাঁচা ধান কাটা শুরু করে। বাদীর ভাইপো সাব্বির শেখ উক্ত ঘটনা দেখে তার গ্রামের বাড়িতে খবর দিলে তার ভাই মোবারক শেখের পুত্র রফিকুল শেখ(৩৩), ভাইপো আছাদ শৈখ এর পুত্র সাব্বির শেখ(২২), ছোটভাই মোবারক শেখের পুত্র শরিফুল শেখ(৪৫) ধ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ধান কাটতে নিষেধ করলে বিবাধীরা দেশিয় অস্ত্র স্বস্ত্র সহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় আহতরা উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে মনিরুল শেখ ও আছাদ শেখ বলেন আমরা মোঃ আক্তার হোসেন এর জমি বর্গচাষ করি।
স্থানীয় দফাদার বলেন আমি এখানে ইরিগেশন পাম্বের মাধ্যমে ধানের ৫/১ অংশ নিয়ে জমিতে পানি দিয়ে থাকি।
সে মতে আক্তার এর জমির বর্গাচাষি মনিরুল শেখ ও আছাদ শেখ এর ধানে পানি দিয়ে থাকি।
স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য নুরুন নাহার বলেন বর্গাচাষি মনিরুল শেখ ও আছাদ শেখ এর ধানে দফাদার পানি দিতেন, জমির মালিক মোঃ আক্তার হোসেন।
ইউপি সদস্য মিরাজ বলেন, আমি কাগজপত্র দেখেছি উক্ত জমি মোঃ আক্তার হোসেন এর।
ইউপি চেয়ারম্যান আছাবুর রহামান আছাব বলেনে, শুনেছি ধান কাটা নিয়ে গোলোজগ হয়েছে। কিন্তু আমি এখনও জমির কাগজপত্র দেখিনি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কৌশিক কুমার সাহা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, জানতে পারি জমির মালিকানা নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন ডিস্ট্রিক কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে।
অপরদিকে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে প্রতিপক্ষরা হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে বাদির কাছে জানতে চাইলে বাদি আক্তার হোসেন জানায় আমি ও আমার ছেলে ঘটনা স্থলে ছিলাম না। আমরা খুলনার পশ্চিম বানিয়াখামার বাড়িতে ছিলাম যার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। তার পরেও তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা করেছে। হুকুমদাতা সেলিম জাহাঙ্গীর ওরফে বুলু’র নির্দেশে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিÍ দাবি করছি।