আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলাকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সঙ্গে যুক্ত করতে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস।
আগামী জুন মাস থেকে এই ফেরি সেবা চালু হতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
এ রুটে ফেরি চালু হলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পরিবর্তে এ রুটে গাড়ি পার হতে পারবে এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জামালপুর,শেরপুর ময়মনসিংহ,নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এজন্য সম্প্রতি চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসির একটি প্রতিনিধিদল চিলমারী নদীবন্দর পরিদর্শন করেন।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘রৌমারী থেকে জেলা শহরের যাতায়াতের জন্য ফেরি চালুর জন্য কয়েকটি নৌপথ রয়েছে। আমরা সব নৌপথ পরিদর্শন করব। এ ক্ষেত্রে নদীর গতিপথ, জনচাহিদা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের বারবার গতি পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই আমরা ফেরি চালুর উপযোগিতা নির্ধারণ করব। যেহেতু চিলমারী নদীবন্দর ঘিরে সরকারের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
সে ক্ষেত্রে চিলমারী নদীবন্দরকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চালুর সম্ভাবতা যাচাই কমিটির সদস্যরা চিলমারী নদীবন্দর পরিদর্শন শেষে ব্রহ্মপুত্র নৌপথে রৌমারী যান। সেখানে তাঁরা কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন।
চিলমারী-রৌমারী ফেরিঘাট সম্ভাব্যতা পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন এবং বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান,জেনারেল ম্যানেজার মেরিন ক্যাপ্টেন হাসিমুর রহমান চৌধুরী,ম্যানেজার মেরিন আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ার সাজিদুর রহমান,ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব মন্ডল,ইঞ্জিনিয়ার রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ এবং চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোকুনুজ্জামান শাহীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কুড়িগ্রাম সফরে এসে চিলমারী নদী বন্দর,রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা পরিদর্শন করেন। ওই সময় জেলা শহরের সঙ্গে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলাকে সংযুক্ত করে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি ফেরি চালুর জন্য স্থানীয় লোকজন দাবি জানান।মুখ্য সচিব তাঁর সফরসঙ্গী নৌপরিবহনসচিব ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চালুর জন্য সিদ্ধান্ত হয়। তবে এর আগে বিকল্প রুটে ফেরি চলাচলের জন্য গত বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি রৌমারী-চিলমারী নৌরুট পরিদর্শন করেন বিআইডব্লিউটিএর এর সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী, পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান ও জিএম (মেরিন) ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী।তারাও প্রতিবেদন জমা দেন।