আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী-ঢাকা মহাসড়ক থেকে রবিবার সকালে অজ্ঞাত এক নারীর (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই কসাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলো– আবুল কালাম (৪৫) ও লালকু মিয়া (৪৬)। তারা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি বাজারের মাংসবিক্রেতা আমিনুলের সহযোগী। বাজারের কাছে তাদের বাড়ি। পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে তারা অজ্ঞাত ওই নারীকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
এর আগে সোমবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি বাজারের সামনে মহাসড়ক থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে রৌমারী থানা পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তার পরিচয় কেউ জানেন না। গত দেড় বছর ধরে তিনি বড়াইকান্দি বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন। রবিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তাকে হত্যা করে। সড়কে তার মরদেহ পড়ে ছিল। মাথার মাঝখানে ‘ধারালো অস্ত্রের’ আঘাত ছিল।
এ ঘটনা পরপরই বড়াইকান্দি বাজারের মাংসবিক্রেতা আমিনুল কসাই (৩৮) এবং তার সহযোগী ভ্যানচালক সফিকুলকে (২৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয় পুলিশ। তাদের কাছে পাওয়া তথ্য ও নিবিড় তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি হত্যায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামিদের স্বীকারোক্তি মতে ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, গ্রেফতার আসামিরা রবিবার রাতে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে সময় ওই নারী কালামের হাতে কামড় দেন। বাঁধা দেওয়ায় মাংস ঝুলিয়ে রাখার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে অভিযুক্তরা। এতে ওই নারী মারা যান। মরদেহ উদ্ধারের পর নিবিড় তদন্তে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।