আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে কর্মরত রোজিনা আক্তার। তাঁকে সম্প্রতি সদর ক্লিনিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি সপ্তাহে তিন দিন সদর ক্লিনিকে এবং সপ্তাহে দুই দিন ধনতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

সরেজমিনে সদর ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, দরজায় নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। নোটিশে লেখা, রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার। এই তিন দিন অফিস খোলা থাকবে।

রোজিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন। একটিতে সপ্তাহে তিন দিন এবং অন্যটিতে সপ্তাহে দুদিন সময় দেন। তিনি আরও জানান, সদর ক্লিনিকের রসনা আকতার প্রশিক্ষণে গেছেন। তাই তাঁকে দুটি কর্মস্থলের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আটজনের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র তিনজন। দুওসুও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির সেবা কার্যক্রম বন্ধ। বাকি সাতটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

এছাড়াও পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ৪৬ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৮ জন। একজন মেডিকেল অফিসার ছিলেন। বদলি হওয়ার এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। নতুন করে পদায়ন না করায় ডা. রেজা হাবিব অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

সেবা নিতে আসা কিশোরী আকলিমা বলেন, ‘গত সোমবার সদর ক্লিনিকে সেবা নিতে এসেছিলাম। অফিস বন্ধ, তালা ঝুলছে দেখে ফিরে গিয়েছি। পরে মঙ্গলবার এসেও দেখি একই অবস্থা। দুদিন যাওয়া-আসার ভ্যানভাড়া বৃথা গেছে।’

বালিয়াডাঙ্গী পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নাদিয়া আকতার বলেন, ‘আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এ কারণে সদর ক্লিনিকটি সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ রাখা হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেওয়ার মোর্শেদ কামাল মুঠোফোনে বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। জনবল নিয়োগের জন্য চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে কিছু জনবল পাবো। তাঁরা এলেই কাজের মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *