মুসলিমুর রহমান পার্বতীপুর প্রতিনিধি–
পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হব।এটি চতুর্থ ধাপের নির্বাচন।সাধারন ভোটাররা উত্তাপহীন।৩ জুন থেকে প্রচারনা শেষ।এ উপজেলায় পৌরসভা সহ ১০ ইউনিয়নে ভোটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০ মে’ থেকে।সাধারণ ভোটাররা নিরানন্দ। তবে থেমে নেই শুধু দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকদের ছুটে চলা। বিশেষ দলীয় নেতা কর্মী সমর্থক ছাড়া সাধারন মানুষের মাঝে ভোটের ইমেজ এবারে নেই। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেক আগে থেকেই তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। সে লক্ষ্যে তারা মাঠপর্যায়ে জনসংযোগ, ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভা, মানুষের মন জয় করেছেন তারই জয়ের সম্ভাবনা বেশেী।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থেকে এ সংবাদ পাঠানো পর্যন্ত যারা ভোটে স্ট্যান্ডিং পজিশনে মাঠে আছেন, তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি কাজী আব্দুল গফুর, আওয়ামী লীগ সমর্থক হাজ্জাজুল ইসলাম ও সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক।

অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চলমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল মোমেনিন মোমিন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রায়হান নেতা। সংরক্ষিত মহিলা আসনে রয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা নাসরিন ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান রুকশানা বারী রুকু।
একটি জনমত নিরীক্ষায় দেখা যায় এবারের নির্বাচনে পার্বতীপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক যেকারনে এখানে একমুখী নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।

কারন তিনি প্রার্থী হিসেবে হেভিওয়েট। এছাড়াও প্লাস হয়েছে প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায়। উল্লেখ্য, লাগাতার ৮ বারের কাউন্সিল নির্বাচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক ম্যান মানি পপুলারিটি ও লিডিং এ্যাবিলিটির ক্ষেত্রে আনপ্যারালাল। বড় কথা তার দল নির্বাচন করছে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আব্দুল গফুর ব্যক্তি জীবনে একজন চৌকস ব্যাক্তি ও পেশাগতভাবে পার্বতীপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক। তার স্থানীয় রাজনীতির অবস্থা কেন্দ্রীয় রাজনীতির মতই। একাধিকবার উপজেলায় দাঁড়ালেও খুব বেশি একটা গ্রহনযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পারেননি। মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক ভিত্তিও তেমন নেই। তবে কিছু গ্রামে দু চারজন করে জাতীয় পাটী সমর্থক রয়েছে তার।

প্রার্থী হাজ্জাজুল সাধারন মানসিকতার একজন মানুষ। ব্যাবসা করেন।আওয়ামী পরিবারের মানুষ বলে দাবি করেন আবার কখনো বলেন আমি স্বতন্ত্র। অনেকটা শখের বসে ও নিজেকে পরিচিতির তালিকায় তুলে ধরতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলে অনুমেয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক আতিকুর রহমান দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাবের মধ্য বয়সী সমাজ সেবার পথযাত্রী। তার সাংগঠনিক কোন বড় শক্তি না থাকলেও সাংবাদিক মহলে একটা পরিচিতি রয়েছে। বিপ্লবী মনা কথাবার্তা বলেন তথা দৃঢ়চেতা গোচের একজন যুবক তাকে বলা যায়।তবে সে ব্যক্তি ইমেজে স্বাতন্ত্রিক কিছু ভোটের দাবীদার সে কথাই বলছে জনমত জরিপ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের আমিরুল মোমেনিন মোমিন ও প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুর রায়হান নেতা দু’জনই মাঝারি ক্লিন ইমেজ লিডার। এলাকায় পরিচিতিও রয়েছে বেশ, দু’জনই আওয়ামীলীগ করেন। এ পদে যদি কেউ কাউকে ছাড় না দেন এবং নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকেন, তাহলে হয় বিপুল ব্যবধানে কারও জয়লাভ নতুবা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মতামত যাচাইয়ে এমনটাই মিলছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনেও ওই একই অবস্থা বিরাজ করছে। একজন চলমান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরজন একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা। ম্যান মানি ইল্লিজিবুলিটি তারও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *