বন্দর প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকায় দুই দিনে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে দীঘলদি ও সেলসারদি এলাকায় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে এ ডাকাতি ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে সাবদী দীঘলদী এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় কাচামাল ব্যবসায়ী চিত্ত রঞ্জন বিশাস বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং ২২(০৬)২৩ইং।

তথ্যমতে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে উত্তর সাবদী মূখফুলদী গ্রামে গত ২০জুন মঙ্গল গভীর রাত আনুমানিক ২টার সময় দুবাই প্রবাসী জনি মিয়ার বাড়িতে ১৫/২০জনের একটি সংঘবদ্ধ মূখোশধারী ডাকাত দল কালো কাপড় পড়ে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতির জন্য জড়ো হয়। ওই সময় দুবাই প্রবাসীর ছোট ভাই রনি টের পেয়ে তাদের বাধা দিলে ডাকাত দলের সদস্যদের রনির হাত পা বেধে হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় প্রবাসী জনির পরিবারকে অস্ত্রেও মূখে জিম্মি করে ঘরের আলমারিতে থাকা ৩০ভরি স্বর্নালংকার ও ঘরে থাকা নগদ দুই লক্ষ ৮০হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। আহত রনিকে বন্দও উপজেলা স্বাস্থা কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এর আগে গত ১৯জুন রাতে সাবদী দীঘলদী কাচামাল ব্যবসায়ী চিত্ত রঞ্জন বিশাসের বাড়িতে একই কায়দায় ১০/১২ জনের মূখশধারী ডাকাত দল কালো কাপড় পড়ে বাড়ির লোহার গেইট টপকে পূর্বমূখী ক্যাচি গেইটের লক ভাঙ্গিয়া কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির মালিক চিত্ত রঞ্জন বিশাসের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তাকে দুই হাত পেছনে ফেলে গামছা দিয়ে বেধে ও দুই পা প্লাষ্টিকের রশি দিয়ে বেধে ফেলে শুইয়ে রাখে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যরা।

ডাক চিৎকার করার চেষ্টা করলে ডাকাত দল রামদা,সাবল,বগি দেখাইয়া হত্যার ভয় দেখায়। এ সময় চিত্ত রঞ্জন বিশাসের স্ত্রীর কাছ থেকে আলমারীর চাবী নিয়ে জিনিসপত্র এলোমেলো করে কিছু না পাইয়া ভাঙ্গচুর করে। পরে তার ছেলে ঘরে গিয়ে টেবিল চেয়ার তছনছ করে। চিত্ত রঞ্জন বিশাসের ছেলে বাধা দিতে গেলে ডাকাত সদস্যরা রামদা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে। একপর্যায়ে চিত্ত রঞ্জনের স্ত্রী গলায় ও কানে থাকা স্বর্নালংকার,নগদ টাকা এবং ঘরে থাকা কয়েবটা দাবী মোবাইলসহ সাড়ে ৩লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এ সময় চিৎকার করলে আশপাশের লোক এসে চিত্ত রঞ্জনের আহত ছেলেকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন।

এলাকাবাসীর সংবাদে ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক। ডাকাতির ঘটনায় তিনি বলেন, ডাকাতদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে পুলিশী অভিযান চলছে।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন, বর্তমানে বন্দরে আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি দিকে ধাবিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে বাতাস লাগিয়ে অন্য কোথাও ঘুরে বেড়ায়। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সুনজর কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *