আলিফ তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের সরকারী খাদ্য গুদামে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,তানোর পৌর সদরে ৪টি ও কামারগাঁ ইউপিতে ২টি মোট ৬টি খাদ্যগুদাম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,অধিকাংশক্ষেত্রে এসব গুদামে স্বাভাবিক নিয়মে কোনো কাজ হয় না। কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক পদে পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক দিতে হয় ব্যতিক্রম হলে পদে পদে হয়রানি। এছাড়াও ডিওলেটার আটকিয়ে টাকা আদায়, রাঁতের আঁধারে ভাল মাণের চাল বের করে নিম্নমাণের চাল গুদামজাত ও বিশেষ কৌশলে বস্তা থেকে চাল বের করে নেয়া ইত্যাদি এসব অভিযোগ অনেক পুরুণো বলে আলোচনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেয়ারপ্রাইজ কর্মসুচির এক ডিলার বলেন, সব অনিয়মের নিয়ন্ত্রক মামুন সাহেব, তার মাধ্যমেই এসব অনিয়ম হয়ে থাকে। তিনি বলেন, তাকে আর্থিক সুবিধা না দিলে বেছে নিম্নমাণের চাল গছিয়ে দেয় প্রতিবাদ করলেই কপালে শণির দশা-?

প্রসঙ্গত প্রায় ৬০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক কামিয়াব আফতাহি উন নবী বাদি হয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) (তৎকালীন) আলাউল কবির, কামারগাঁ খাদ্য গুদামের (তৎকালীন) কর্মকর্তা

(ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার, সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও নিরাপত্তাকর্মী কুরবান আলী। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর ও কামারগাঁ সরকারী খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাগণ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে কি হয়েছে সেটা তাদের বিষয় নয়, তবে তাদের সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *