বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার কোঁদালের কোপে সাবিনা আক্তার পান্না (২৮) নামে এক গৃহবধূ নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ শ্বাশুড়ী মাসুদা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার ( ৫ অক্টোবর) রাতে ঘাতক ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমানকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিরবাগ এলাকাস্থ জনৈক মোশারফ হোসেন ভেন্ডারের মালিকানা জায়গায় ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সাবিনা আক্তার পান্না বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার রাজিব মিয়ার স্ত্রী। সে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার শৈলারামপুর এলাকার আব্দুল রশিদ মিয়ার মেয়ে বলে জানাগেছে।

হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে ঘাতক ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান পলাতক রয়েছে। মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বিবাদী হত্যাকারি আব্দুর রহমান বাদিনী প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন ভেন্ডার এর মালিকানাধীন জায়গায় প্রায় ২/৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছিল। জমি ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে জনৈক মোশারফ হোসেন ভেন্ডার ও ১নং বিবাদী সহিত বাদিনী পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। উল্লেখিত বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ( ৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার মোশারফ হোসেন ভেন্ডারের বাড়ি সামনে বাদিনী নাতনি রোজামনি (৩) খেলা করছিল। ওই সময় বিবাদী আব্দুর রহমান তার নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিল। বাদিনী নাতনি খেলাধূলা করার কারনে বিবাদী আব্দুর রহমানের ঘুমের বেঘাত সৃষ্টি হয়।

ওই সময় আব্দুর রহমান অবুঝ শিশুকে গালমন্দ করে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। বাদিনী নাতনি কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে বাদিনী পুত্রবধূ সাবিনা আক্তার পান্না এর প্রতিবাদ করলে ওই সময় বিবাদী আব্দুর রহমানসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে কোদল এনে মাথা এলোপাতারী ভাবে কোপালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।পরে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, গৃহবধূ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *