ছবি সংগ্রহীত
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে অধ্যক্ষ সম্মেলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও বোমাবাজি ছিল। তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক সেটা বিএনপি-জামায়াত চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করেছে বিএনপি। ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যেসব বৃত্তি বা গবেষণা অনুদান চালু করেছে, বিএনপি বারবার তা বন্ধ করেছে।

দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক এটি বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুযোগ থাকার পরও বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ না নিয়ে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

সরকারপ্রধান বলেন, এখন পর্যন্ত শিক্ষায় সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ বরাদ্দ দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায়ও গুরুত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা। আওয়ামী লীগ শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয় বলে চলতি অর্থবছরেও বরাদ্দ রেখেছে ৮৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।

তিনি বলেন, সামরিক সরকারগুলো অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।

এ সময় চারটি বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী অসচ্ছল ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বৃত্তির চেক তুলে দেন সরকারপ্রধান।

বিজয়ী জাতির ইতিহাস না জানলে মানুষের আত্মবিশ্বাস জাগ্রত হবে কীভাবে— প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে অন্ধকারে রেখে শোষণ করার পর সুগম করে বিএনপি। এ দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক সেটি বিএনপি-জামায়াত চায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *