বন্দর প্রতিনিধি:
বিএনপি ডাকা হরতালের সর্মথনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে জনমনে আতংক বিরাজসহ গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টায় বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ফয়েজ আহাম্মেদ বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩৩(১০)২৩ । এর আগে গত রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বন্দর থানার মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হরতাল সর্মথনে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধসহ গাড়ী ভাংচুর করে।

রাস্তা অবরোধ ও গাড়ী ভাংচুরে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় বিক্ষোভরত বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১/ ৫/৬ টুকরা বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ যাহাতে লাল কচটেপ দিয়ে মোড়ানো, ২/ টায়ার পোড়ানোর অংশ বিশেষ ৩/ ৬টুকরা ভাঙ্গা গ্লাস (যাহা পলাতক আসামীরা চলন্ত গাড়ীতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুরের অংশ বিশেষ জব্দ করা হয়।

তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।

মামলার আসামীরা হলো মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার মৃত আশ্রাফ আলী ভ্থইয়া ছেলে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরন (৫৮) একই এলাকার মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে মামুন ওরফে হ্যান্ডকাপ মামুন (৪৫) ফুলহর এলাকার আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে শাহীন (৪০) মদনপুর কামতাল এলাকার মৃত সাবেদ খন্দকারের ছেলে জাহিদ খন্দকার (৪৮) আমুর কান্দাপাড়া বটতলা এলাকার মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে মহসিন (৫০) লাঙ্গলবন্ধ বাজার এলাকার হাবিবুর রহমান হাবিব মিয়ার ছেলে বন্দর উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশীদ লিটন (৪৭) পিচকামতাল বালিগাও এলাকার সায়েদ আলী ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তারা মিয়া (৫৪) মুছাপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকারমৃত আওয়াল মিয়ার ছেলে বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা শাহিন (৪৮) তিনগাও ভদ্রসন এলাকার মৃত হাসমত আলী মিয়ার ছেলে সম্রাট আহাম্মেদ সুজন (৪০) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়েেনের ফরাজিকান্দা এলাকার মৃত মোবারক হোসেন মিয়ার ছেলে উল্লেখিত ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল (৪৮) একই ইউনিয়নের হাজরাদী চাঁনপুর এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৪৮) নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকার মৃত আমান সরদারের ছেলে শাহীন আহমেদ সৌরভ (৪০) বন্দর থানার দড়িসোনাকান্দা এলাকার মৃত সাদেক পাঠানের ছেলে মনির পাঠান (৩৮) সরদারবাড়ী এলাকার মৃত আহসানউল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে স্বপন সরদার (৪৫) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকারমৃত আফজাল হোসেন মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন (৪৮) একই এলাকার মৃত মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৫২) ২৬নং ওয়ার্ড রামনগর এলাকার মৃত তাওলাদ হোসেন মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৪৮) কুড়িপাড়া এলাকার মৃত সালাম মাষ্টারের ছেলে বন্দর থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ আহাম্মেদ (৪২) একই এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে রমজান আলী (৪২) মদনপুর কলাবাড়ী এলাকার মৃত মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে আনিছ ভূইয়া (৪০) বন্দর ২৪নং ওয়ার্ডের চৌরাপাড়া এলাকার মৃত হাতেম বেপারী ছেলে শরিফ (৪৫) দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার আব্দুল সালাম মিয়ার ছেলে রুবেল (৩৫) বন্দর ২১ নং ওয়ার্ডের ছালেনগর এলাকার মৃত বাবর বেপারী ছেলে মহানগর বিএনপি নেতা আমির হোসেন (৫২) দেওয়ানবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত কামিজ উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (৪২) কলাগাছিয়া এলাকা সাবদী এলাকার উপজেলা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির (৪৮) ফুলহর এলাকার শহিদুল্লাহ ওরফে পাইচা মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৮) কুড়িপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল সামাদ ডাক্তারের ছেলে বিএনপি নেতা মিজান (৪০) বন্দর তিনগাও ভদ্রসন এলাকার মৃত হাসমত আলী ছেলে রাজু আহাম্মেদ (৩৮) সেনেরবাড়ী চাঁন মার্কেট এলাকার হযরত আলী ছেলে হারিছ (৩৭) ও একই এলাকার মৃত খালেক মিয়ার ছেলে ওয়াদুদ সাগর (৪৫) বন্দর বাজুরবাগ এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে তাওলাদ (৪৮)।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা উল্লেখিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাতে মশাল,লোহার রড, হকিস্ট্রিক, চাপাতি ও ককটেলসহ অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্দর থানার ফুলহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ।

ওই সময় বিক্ষোরত বিএনপি নেতাকর্মী ওই পথে চলাচলরত বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল আসলে ওই সময় তারা কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। উল্লেখিত আসামীদের দেখামাত্র গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্দরে কাউকে আগুন সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *