আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল সত্য চন্দ্র শীল। ঘটনাটি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কবিরের ভিটা নামক এলাকার।

এলাকাবাসী ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২১ জানুয়ারি রাত অনুমানিক ২ ঘটিকার সময় পারিবারিক কলহের জের ধরে সত্য চন্দ্র শীল (৫০) তার স্ত্রী লতা রানী (৪০) কে নৃশংসভাবে গলায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নাগেশরী থানায় মামলা নং-১৫, তারিখ-২১/০১/২০২৪ ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়।

এদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) প্রভাত রঞ্জন রায়সহ পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে আসামী সীমান্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক সত্য চন্দ্র শীলকে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার পলাশী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হতে ২১জানুয়ারি বিকাল ৪ টায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধাঁরালো কুড়াল ও আসামীর পরিহিত সাদার রংয়ের রক্তমাখা সোয়েটার ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার করা হয়েছে। আরো জানাগেছে, নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার জিকো সিনেমা হলের উত্তর পাশে কামারপাড়া নামক স্থানে আসামী সত্য চন্দ্র শীলের সেলুনের দোকান রয়েছে।

গত ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ আসামী শ্রী সত্য চন্দ্র শীল সেলুনের কাজ করে রাত ৯ ঘটিকার সময় বাড়ীতে এসে স্ত্রীর সাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ২১ জানুয়ারি রাত অনুমানিক ২ টার সময় খাটের উপর ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী লতা রানী শীল এর গলায় পরপর দুটি কোপ মারলে ভিকটিম লতা রানী শীল ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করেন।

পার্শ্বের কক্ষে শুয়ে থাকা ছোট ছেলে সাগর শীল (১৭)ও বড় ভাই সোহাগ শীল (২৫) তার মা-বাবার শয়ন ঘরে শব্দ শুনতে পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পায় যে, তার মা ভিকটিম লতা রানী খাটের উপর রক্তাক্ত ভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

ছোট ছেলে সাগর শীল তার বড় ভাইকে চিৎকার করে ডাক দিলে বাবা-মার শয়ন ঘরে এসে তার মাকে খাটের উপর রক্তাক্ত ভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তাদের চিৎকারের লোকজন আসার আগেই ঘাতক সত্য চন্দ্র শীল ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *