আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুরের শাহীকে পবিত্র ঈদুল আজহায় ৪ লাখ টাকায় বেচতে চান মুকুল মিয়া। অনেক আদরের একটি হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় শাহী। বয়স ২২ মাস। ওজনে ৫০০ কেজি। প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ায়ে তিনি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। এটাই উলিপুরের বড় আকারের কোরবানি যোগ্য ষাঁড়।

প্রথম দিকে খাবার কম খেলেও এখন প্রতিদিন ৮০০ টাকার খাবার খাচ্ছে।উপজেলার থেতরাই এলাকার মুকুল মিয়া হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি প্রতিবছর গরু মোটা তাজা করেন। এবারই তার বড় সাফল্য শাহী। একই একেই গ্রামের নাজমুল নামের আরো এক ব্যক্তি ছয়টি শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় মোটাতাজা করেছেন। তিনি জানান, আমি ২ মাস থেকে আড়াই মাস ধরে এসব লালন পালন করছি।

গত তিন বছর ধরে মোটা তাজা করছি। এ পর্যন্ত লাভ হয়েছে কিন্তু কোন লোকসান হয়নি। তিনি দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকায় এসব বিক্রির আশা করছেন। তবে তিনি জানান, খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় মোটা তাজায় খরচ বেড়েছে। উলিপুর উপজেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি গরু বেচাকেনার হাট রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, উলিপুর হাট, দূর্গাপুর হাট, থেতরাই হাট। এসব হাটে গিয়ে জানাযায়, ক্রেতারা বলছে গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি। কিন্তু বিক্রেতারা বলছে গো-খাদ্যের দামের কারণে দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।

হাটে একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা জানান, গোখাদ্যের দাম তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোরবানির পশুর দাম একটু চড়া যাচ্ছে। তবে হাটে মাঝারী ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর উলিপুর উপজেলায় ৫৪ হাজার ৪টি প্রাণী মোটা তাজা করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩৮ হাজার ১’ শ ৫২ টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৫ হাজার ৮’ শ ৫২ টি। উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানুর হক জানান, আমাদের প্রাণী সম্পদ অফিস কৃষকদের গরু মোটাতাজা করণসহ সব সময় পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *