মোহাম্মদ এরশাদুল হক লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের সাংবাদিক ইমাম খাইরের মুক্তির দাবী ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে লোহাগাড়ায় মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বটতলি মোটর স্টেশনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন লোহাগাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রশিদ, প্রেসক্লাবের যু্গ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক পুষ্পেন চৌধুবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক খোকন সুশীল, সিপ্লাস টিভি প্রতিনিধি এরশাদ হোসাইন, প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রায়হান সিকদার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মিনহাজ উদ্দন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লোহাগাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রকসী সিকদার, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য মাস্টার সিরাজুল ইসলাম,

ডা: কামাল উদ্দিন, লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক মো. মারুফ, সাংবাদিক তুষার আহমদ চৌধুরী কাইছার, লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরশাদ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমএএইচ রাব্বী, দপ্তর সম্পাদক মো. জমির উদ্দিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, এসএ টিভি প্রতিনিধি শাহজাদা মিনহাজ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লোহাগাড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দেশপ্রিয় বড়ুয়া প্রমূখ।বক্তারা বলেন, গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদারকে গুলি করে হত্যা মামলায় মোবাইলের কল লিস্টকে কেন্দ্র করে সন্দেহজনক ভাবে কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক ইমাম খাইরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।

অনতিবিলম্বে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনারও আহবার জানান। একটি মানবন্ধনই আজ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। হত ৫ নভেম্বর গুলিবৃদ্ধ হন জহিরুল ইসলাম সিকদার ও কুদরত আলী। ৭ নভেম্বর চমেকে মারা যান জহিরুল ইসলাম সিকদার। কুদরত আলী বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামী করে ৯ নভেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন কক্সবাজার মডেল থানায়। ওই মামলায় ১১ নভেম্বর সাংবাদিক ইমাম খাইরকে আটক দেখিয়য়েছেন একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।বক্তারা আরো বলেন, একজন পেশাদার সাংবাদিক পেশাদারিত্বের কারণে সবার সাথে ফোনালাপ হতে পারে সেটা স্বাভাবিক।

তবে পেশাদার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার বা আটক করতে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বা জানানো দরকার। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, একটি কল লিস্টকে কেন্দ্র করে আটক করার বিষয়টি সাংবাদিক সমাজ কখনো মেনে নিবে না। অবিলম্বে সাংবাদিক ইমাম খাইরের কল রেকর্ড বের করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে প্রত্যাহার ও মুক্তি দিতে হবে। যদি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিচারও হতে হবে। সাংবাদিক ইমাম খাইর চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক ও কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত কক্সবাজার৭১ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *