মোঃআবু কাওছার মিঠু
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ী সুমন ও তার বন্ধুদের সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা ন্যানশাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ব্যবসায়ী সুমনের স্ত্রী সিলমী জাহান যুথি বাদী হয়ে রুপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় এজাহার নামিয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- উপজেলার বাঘবের এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রিটন (২৬), জাঙ্গীর এলাকার মো. সানাউল্লাহ মোল্লার ছেলে মোঃ শিমুল (২৩), বৌরারটেক এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২৪) ও জাঙ্গীর এলাকার রফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. মামুন মিয়া (২২) সহ অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জন।

মোসা. সিলমী জাহান যুথি লিখিত অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী মো. সুমন একজন ইট বালু ব্যসায়ী। আর উপরোক্ত আসামিরা মাদক সেবী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় সময় আমার স্বামী মো. সুমন এর সাথে ঝগড়া করতো। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট বিকেল ৫ টার দিকে রুপগঞ্জের পূর্বাচল উপ শহরের ২ নম্বর সেক্টরে একটি টিনের একচালা নতুন দোকানে বিভিন্ন অপকর্ম হয় এমন কথা জানতে পেরে আমার স্বামী সুমন ২ নম্বর আসামি শিমুল ও ৩ নম্বর আসামি তারিকুলকে জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ করে চলে যায়।

পরে রাত সাড়ে ৮ টায় আমার স্বামী সুমন ও তার বন্ধু মো. মুরাদ (২১), মো. মোবারক হোসেন (২২) ও মো. রিফাত মিয়া (২০) কাজ শেষ করে এক সাথে বাড়ি ফেরার পথে রুপগঞ্জের পূর্বাচল শহরের ২ নম্বর সেক্টরের পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার সময়ে এক নম্বর আসামি রিটন আমার স্বামী ও তার বন্ধুদের ডেকে নিয়ে আসামি মামুনের একচালা টিনের তেলের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামি সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আমার স্বামী সহ তার বন্ধুদের সেখানে নেওয়া হলে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করে তাদের মারধর করা হয়।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে যায় ও ছেচা জখম হয়। একইভাবে তার বন্ধুদেরও জখম করা হয়। এ সময় আমার স্বামীর প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও তার বন্ধু মুরাদের পকেটে থাকা সাড়ে ৩৮ হাজার টাকা, আরেক বন্ধু মোবারকের পকেটে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে এক নম্বর আসামি লিটন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে প্রাণ নাশের নির্দেশনা দিলে তার সহযোগি অপর আসামিরা তাদের হাত েথাকা গ্যালন ভর্তি পেট্রোল তাদের শরীরে ঢেলে দেয় ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়া এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তার শরীরের আগুন নিভিয়ে দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যানশাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

রূপগঞ্জ থানার (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, এই ঘটনায় দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *