মোঃআবু কাওছার মিঠু
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে মিল্লাত হোসেন (২৯) ও তার মামা মোঃ শফিকে (৪৬) পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা নদীর পাড় পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মিল্লাত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা নদীর পাড় মৃত লাল মাহমুদের ছেলে। আহত শফিক একই ইউনিয়নের পশ্চিমগাও এলাকার মৃত আসাব উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহতদের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের বেশকয়েকটি বাড়িতে ওইদিন রাতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষই রূপগঞ্জ থানায় পাল্টা পাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে মাঝিনা নদীর পাড় পশ্চিম পাড়া এলাকায় মিল্লাত হোসেন ও তার মামা মোঃ শফিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতে মিল্লাতের অনুসারীরা মাঝিনা নদীর পাড় তৈয়বুর, শাকিল, দেলোয়ার হোসেন, মাঝিনা পশ্চিম পাড়ার মোমেন ও মোক্তার হোসেনের বাড়িতে রাম দা, ছেন, দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

এ ঘটনায় আহত মিল্লাত বাদী হয়ে মোমেন সাউদ (৩৪), আবু (৪০)৷ বাবু (২৬), মিজান (৪২), শামীম (২৮), আলামিন (৩৪), সোহাগ (২৮), ইকবাল (৩৪), শাকিলসহ (৩০), অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
একই ঘটনায় গোল মোহাম্মদের ছেলে তৈয়বুর রহমান বাদী হয়ে মিলন (২৪), সাইদুল (১৮), রাকিব মিয়া (২১), টুটুল মিয়া (৪০), জাহিদসহ (২৮), অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এর পরএ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ইসলামের ছেলে শাকিল বাদী হয়ে আলী আজগর (৩০), জাহিদ (২৮), রাজন (২৫), আব্দুল কাইয়ুমসহ (২৫) অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এরই পরে মোমেন সাউদের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে ওমর ফারুক (২৯), আলী আজগর (৩২), রাজন (২৫), মিলন (২৬), আব্দুল কাইয়ুম (২৫), মোঃ টুটুল (৩০), মেহেদী (২৭), মোহাসিন (৪০), শান্ত (২৫), মুন্না (২০), সাগর (৩০) অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত ওমর ফারুক মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। একটি কুচক্রী মহল আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে এবং আমাকে হয়রানি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ।

তবে দোকান পাট ও বাড়ি ভাংচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক। আমি প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ঘটনায় যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। অহেতুক কাউকে হয়রানি না করার জন্য জোরদাবি করেন।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, দোকান পাট ও বাড়ি ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় উভয় পক্ষেরই পাল্টা পাল্টি অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত করে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *