নারায়ণগঞ্জ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রিজভী আহমেদ নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি কোথায় আছেন? আমি জানি। উনি মাসদাইরে আছেন। শুরু থেকেই আমি জানি। শুধু দেখতে চেয়েছি ওদের সাংগঠনিক ক্ষমতা কতটুকু। আমি লজ্জিত হলাম, এদের সঙ্গে খেলবো কীভাবে। আমাদের ছাত্রলীগই তো তাদের সাথে খেলবে না।

বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল (নম) পার্কে আগামী ৪ই নভেম্বর শাপলা চত্তরে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, কী দৈন্য দশা ওদের। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসে হরতাল করতে সঙ্গে আটজন। পাগলও যদি দাঁড়িয়ে কথা বলে সেটা শুনতে ১০ জনের বেশি লোক হবে। রিজভী সাহেব কেন্দ্রীয় নেতা ৮/৯জন লোক নিয়ে টায়ারে আগুন লাগিয়ে হরতালের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন। অবরোধের দিনও আমরা জানি উনি কোন দিক দিয়ে বের হবেন। সেদিন বুঝেছিলেন তাদের অবস্থা খারাপ তাই শিবিরের ক্যাডার নিয়ে আমাদের ইয়াসিন ভাইয়ের পেট্রোল পাম্পের পাশের গলিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোরও প্ল্যান ছিল। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ অত্যন্ত যোগ্যতা ও ধৈর্যের সঙ্গে আপনাদের এগুলো লক্ষ্য রাখছেন। সঙ্গে গোয়েন্দাসংস্থাও আছে। আপনারা পাড় পাবেন না।

বিএনপির আন্দোলনের মানুষ হত্যার কথা তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, ওরা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমি এক দেড় বছর আগেই বলেছিলাম এমনটা হবে। ঢাকায় একটা মিটিং হল। একটা আমাদের। আর ওদের একটা। আমাদেরটা ওদের চেয়ে বড় ছিল। সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মী নিয়েও ওরা যে মিটিং করেছিলো তাও আমাদের সমাবেশের চেয়ে ছোট ছিল। আমরা একটানা ১৪ বছর ক্ষমতায়। আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে ওরা যে নির্যাতন করেছে। আমরা তা করিনি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবেই। আমরা হামলা করিনি। ওরা গিয়ে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করল। পুলিশকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। ওদের ছাত্রদলের এক নেতা মৃত মানুষটাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলো?

এসময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম ভু্‌ইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *