আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান পদে
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় আওয়ামী লীগের নয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখিত ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর দল থেকে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়। তিনি বলেন, ১১ নভেম্বর রাণীশংকৈল উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপরীতে রানীশংকৈল উপজেলায় ৩ টি ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। পরে রানীশংকৈল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ওই ৬ জনের নামের তালিকা জেলা আ’লীগের কার্যালয়ে পাঠানো হলে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।

বহিস্কৃত আ’লীগের নেতারা হলেন, ১নং ধর্মগড় ইউনিয়ন আ’লীগের সহ সভাপতি আকবর আলী মাষ্টার , উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রিপন, ২নং নেকমরদ ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন, ৪নং লেহেম্বা ইউনিয়নে উপজেলা আ’লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রওশন আলী, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালেকুজ্জামান ও লেহেম্বা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি তাহের আলী মাস্টার ।

অন্যদিকে হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নগেন কুমার পাল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল স্বাক্ষরিত একটি পত্র জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাঠানো হলে তিনজনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন ভাতুরিয়া ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী সরকার, হরিপুর ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম এবং গেদুরা ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী।

হরিপুর উপজেলার সদ্য বহিষ্কৃত প্রার্থী আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত এসব আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রার্থীদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’ বহিষ্কৃত নেতারা আর দলে ফেরার সুযোগ পাবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘দল এবার বিদ্রোহীদের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *