আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি;

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পাকা রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এলজিইডি’র পাকা রাস্তার কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারের লোকজন এলাকাবাসীর কোন কথায় কর্ণপাত না করে ক্ষমতা দেখিয়ে নিম্ন মানের ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তার সাববেইজ ও ডাব্লিউবিএমের কাজ শেষ করেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী ক্লিনিক – মধ্যে পাড়া পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য সরকার নতুন পাকা রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেন।

সে মোতাবেক, আই আর আইডিপি প্রকল্পের আওতায় ভাংবাড়ী ক্লিনিক হতে মধ্যে পাড়া পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে এলজিইডি। টেন্ডারে ৪৫ লক্ষ টাকা চুক্তিমূল্যে কাজটির দায়ীত্ব পান তন্ময় এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
পাকা রাস্তার কাজ এলজিইডি’র মাধ্যমে শুরু করা হয়। নির্মাণ কাজের শুরুতেই ব্যবহার করা হয় নিম্ন মানের ইট ও বালী।

কাজের গুনগত মান দেখে স্থানীয় বাসিন্দা দরিমুল বলেন, ‘রাস্তাটিতে প্রথম থেকেই নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে রাস্তার কাজ শেষ না হতেই পাশের কিছু কিছু জায়গায় এজিং ভেঙে গেছে। যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে রোলার মেশিন দিয়ে রোলিং করার পরে ইট পাওডার এর মতো হয়ে গেছে। এভাবে রাস্তা করার থেকে না করায় ভালো।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল বলেন, ‘রাস্তাটিতে যেভাবে কাজ করা হয়েছে এভাবে কাজ করলে রাস্তাটি বেশিদিন টিকবে না, তিন নম্বর গড়েয়া ইট এনে খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা মানা করা সত্ত্বেও ঠিকাদারের লোকজন ক্ষমতা দেখিয়ে তারা ওই ইটের খোয়া ব্যবহার করেছে। তারা এভাবে কাজ করে সরকারের উন্নয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমরা দাবী রাস্তার ব্যবহারকৃত নিম্ন মানের সামগ্রী তুলে আবার নতুন করে করা হোক।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার তন্ময় উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলীর যোগ সাজসে পাকা রাস্তায় নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ইট ও বালী ব্যবহার করে কাজ শুরু করেছেন।

সাংবাদিকেরা রাস্তাটি দেখতে গেলে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের নিয়েও বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও সাংবাদিকদের একই সঙ্গে তুলনা করেন।

ঠিকাদার তন্ময়ের কাছে অনিয়ম ভাবে রাস্তার কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কাজটি আমার অবশ্যই ভালো হয়ে হয়েছে। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে কি না এটা দেখার দ্বায়িত্ব এলজিইডির ।

রাণীশংকৈল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি আমাদের জেলা প্রকৌশলী রাস্তা পরিদর্শনে গেছেন। স্যার যেভাবে সিদ্ধান্ত দিবেন সেভাবে কাজ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *