বন্দর প্রতিনিধি
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেছেন, আমার সবসময়ই নির্বাচনের প্রতি অনিহা ছিলো, আপনারা জানেন আমি কোন চাকরি করিনি। সবসময়ই রাজনীতি করেছি, জনগনের খুব কাছে এসেছি।

জনগনের চাহিদা ও ভালোবাসায় আমি আবারো নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কোন উত্তরসূরী নেই। আমার শুধু একটি মেয়ে আর স্ত্রী আছে। আমার আপন বলতে এই এলাকার জনগনই। আমি যদি কিছু করে যেতে চাই তাহলে জনগনের জন্যই করব। এছাড়াও মাননীয় সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান তিনি তার সংসদীয় এলাকা সেবার করার জন্য তিনি আমাকেই যোগ্য মনে করছেন।

শুক্রবার ৫এপ্রিল বিকেলে বন্দর উপজেলাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর আয়োজনে কল্যান্দিস্থ পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা আর আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী কে আপনারা জানেন, তার বাবা একজন কুখ্যাত রাজাকার। এই রফিক রাজাকার মহান মুক্তিযুদ্ধে ২৯ জন নিরিহ মানুষ জবাই করে মেরেছেন,৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করে মেরেছেন। ধামগড় মুছাপুরের প্রায় ১৮টি গ্রাম তিনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন। তারই সন্তান এই মাকসুদ নির্বাচনে এসেছে।

যা আমাদেরই লজ্জার বিষয়। বর্তমানে মুছাপুরে ত্রাশ করছেন। জনগনকে জিম্মি করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে এখন আসছে আপনাদের ভোট কিনে নিতে। ৭১ এর মতই তার এই অল্প পয়সার উপরে থুথু ফেলেন। আপনারা স্বাধীনতার স্বপক্ষে থাকেন। আপনি ও আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট নিজেকে অপরাধী করবেন না।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু,বন্দর উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেন বিএ,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির,কল্যান্দি পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক সামসুল ইসলাম,৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার কামরুল হাসান জজ, কামরুল ইসলাম জজ,কলাগাছিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন,সাধারন সম্পাদক সোহাগ মিয়া,ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুব হোসেন,৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মকবুল হোসেন, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বিউটি বেগম ও শিক্ষানুরাগী আসাদসহ আরো অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *