আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আগামি ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে জয় পরাজয়ে প্রার্থী নয় মেইন ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছ প্রতিক নৌকা। ফলে ইউপি নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই নৌকার জনসমর্থন বাড়ছে।এতে বিপাকে পড়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নৌকার বিরোধীতা করে তারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের পক্ষে ধরে রাখতে পারছে না।
স্থানীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা বলছে,মনোনয়ন দেয় মনোনয়ন বোর্ড ও দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে যারা মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী হয়েছে তারা পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীতা করছে, তাই তাদের কোনো ভাবেই মেনে হবে না প্রয়োজনে তাদের প্রতিহত করা হবে।

এছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে কি লাভ, বিজয়ী হলে তো তাদের সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেই যেতে হবে তখন তারা এসব বিদ্রোহীদের কি সহযোগীতা করবেন ? করবেন না মাঝখানে সম্পর্কের অবনতি,ব্যক্তিগত ও এলাকার ক্ষতি এসব বিবেচনায় সাধারণ ভোটারগণ সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চাই। অন্যদিকে ভোটারদের মধ্যে বোধদয় হয়েছে এটা স্থানীয় নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নয়, কাজেই সরকার সমর্থক প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়, তারা উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে সরকার সমর্থক প্রার্থীর বিজয় চাই। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বোধদয় এটা প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের মর্যাদার বিষয়।

তাই তারা এবার কারো কোনো মোহে বা প্ররোচনায় পড়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না। তাদের অভিমত, ভুল থাকতে পারে প্রার্থী বা কোনো নেতাকর্মীর। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোনো ভুল করেননি, তাই তার সম্মান রক্ষায় তার দেয়া প্রতিকের বিজয় ব্যতিত বিকল্প নাই। কারণ দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটলে কেউ প্রার্থীর পরাজয়ের কথা বলবে না, বলবে নৌকার পরাজয় ঘটেছে, আর এটা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা কর্মী-সমর্থকের কাম্য হতে পারে না। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য স্থানীয় সাংসদের জনপ্রিয়তা ও আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনী কাজে লাগাতে পারলেই ভারশোঁ ইউপিতে নৌকার বিজয় প্রায় নিশ্চিত।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ নেতারা বলেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন এবং উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে নৌকার কোনো বিকল্প নাই, নৌকা হলো উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারক-বাহকের প্রতিক, নৌকার বিজয় মানে স্বধীনতার পক্ষের শক্তি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সাধারণ মানুষের বিজয়, তাই ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী তারা কখানোই নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে কাজ করতে পারেন না, যারা করছে, তারা সুবিধাবাদী তারা কখানোই আওয়ামী লীগের ভালো চাইনি এখানো ভালো চাই না। তারা বলেন, ভুল থাকতে পারে তার বা তার দলের কোনো নেতাকর্মীর এমনকি প্রার্থীর। কিন্ত্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো ভুল করেননি, তিনি এখানো দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাই আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে তার মনোনিত প্রার্থীকে বিজয়ী করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *