ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম

ভারতের ত্রিপুরা এবং মেঘালয় ও পশ্চিম বাংলার দার্জিলিং এর তিস্তা নদীর জল ছাড়তে বাংলাদেশের বহু জেলায় ভারী বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। কারণ অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ভারতের তিস্তা নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে। এবং ভারতের বহু জায়গায় বানভাসি দেখা যায়।

পশ্চিম বাংলার উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন যায়গায় এবং ত্রিপুরা রাজ্যের বহু যায়গায় নদী নালা ভরাট হয়ে গেছে বন্যার পানিতে। যদি না তিস্তার পানি ছাড়ে তাহলে পশ্চিম বাংলা সহ ভারতের বহু জায়গায় মানুষ বন্যার কবলে পড়তে পারে। এবং উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন যায়গায় নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ি। নদীর বাঁধ ভাঙার মতো অবস্থায় ছিল ভারতের বহু জেলার মানুষ। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত রাজ্যের গুলো র অবস্থা ভয়াবহ।

কারণ বন্যার পানিতে ভাসতে পারে বহু জেলা র মানুষ।তাই কোন ঝুঁকি না নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তিস্তা নদীর জল ছেড়ে দিয়েছে।যার ফলে সেই জল সিকিম ও ত্রিপুরা এবং পশ্চিম বাংলা হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং বাংলাদেশের বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এবং বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ফেনী সহ বহু জেলার মানুষ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে গেছে। এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি ফুঁসতে শুরু করে দিয়েছে। এবং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে এই হ্রদের পানি। বাংলাদেশের কাপ্তাই হ্রদের উপর রয়েছে বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যেখান দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

সেটা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে পানি কুমতে থাকলে কোন সমস্যা তৈরি হবে। তবে তিস্তা নদীর জল দুই দেশের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ঘোর বর্ষায় তিস্তা নদীর জল বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এবং তিস্তার হড়ফা জলের তোড়ে ভেসে যায় বহু মানুষ ও ঘরবাড়ি এবং সবুজ ফসলের ক্ষেত। কোটি কোটি টাকার ফসল নস্ট হয়ে যায় এই তিস্তার হড়ফা জলের তোড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *