মোঃ আজিজুল হক নাজমুল
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয় রিতুমনির। রিতুমনির জন্মের পরেই পিঠে টিউমার দেখতে পেয়ে রিতুমনির মা শিউলি বেগমকে হাসপাতালে রেখে রিতুমনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যান পরিবারের স্বজনরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, সোনার বাংলা ক্লিনিকে কয়েকমাস চিকিৎসা চলে ছোট্ট শিশুটির। চিকিৎসা ব্যয় হয় আড়াই লাখ টাকার বেশি।

কয়েকদিন থাকারপর রিতুমনির মা শিউলি বেগম চলে যান নবাগত শিশুর কাছে। সেখানে মা মেয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে। টাকার অভাবে কোথাও পাননি সুচিকিৎসা। ছোট্ট রিতুমনি এখন বসতে পারেনা, খাইতে পারেনা, খাবার গলায় আটকে যায়, পা দুটি অবশ, মাথা ভাঁড়, মাথা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পিঠের টিউমার ফেটে গিয়ে এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ডাক্তার বলেছেন দ্রত অপারেশন করা প্রয়োজন।

শিশুটির প্রতিদিনের ঔষধ কেনার সামর্থ্য নেই রাজমিস্ত্রীর লেবার বাবার। অসহায় বাবার পক্ষে এখন আর অপারেশন করা সম্ভব নয়। কিছুদিন থেকে শিশুটির মাথা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন তাদের হাতে কোন টাকা পয়সা নেই চিকিৎসা করার মত।

রিতু মনির বাবা ইউনুস আলী রাজমিস্ত্রীর লেবার হিসাবে কাজ করে সংসার চালায়। তারপরও নিজেদের নবাগত সন্তানকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করেছেন। এখন তাদের হাতে পুঁজি নেই বলতে চলে। অভাবের সংসারে এই ছোট্ট অবুঝ শিশুর জীবন বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা-মা। ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দিলেও টাকার অভাবে কিনতে পাচ্ছেন না নিত্যদিনের ওষুধ। এক মাস থেকে ঔষধ ছাড়াই দিন কাটছে ছোট্ট শিশু রিতুমনির।

রিতুমনির বাবা ইউনুস আলীর বাড়ী লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের টিকটিকিতে। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার কাঁঠালবাড়ীতে রয়েছেন।

রিতুমনির মা শিউলি বেগম বলেন, জন্মের পর থেকে তার পিঠে টিউমার দেখতে পেয়ে আমার মা হাসপাতালে নিয়া যায়। মানিক স্যার চিকিৎসা করাইছিল। তারপর মাথা বড় হতে থাকলে মানিক স্যার হাবিবুর স্যারের কাছে পাঠান। হাবিবুব স্যার অপারেশন করার কথা বলে। অনেক রিপোর্ট করাইছি। তিনি বলেন টিউমার অপারেশন করলে পায়ে সমস্যা হতে পারে। সুচিকিৎসা ব্যয় বহুল।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা: মো: মাহফুজুল হক মানিক বলেন, “শিশুটির জন্মের পর থেকেই আমার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সমস্যা অনেক গুরুত্বর। দ্রত অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছি। তারা আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হওয়ায় অপারেশন না করেই তারা শিশুটিকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *