বন্দর প্রতিনিধি:
আগামী ২৭ জুলাই, অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন। যার কারনে চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়ে যায়। ওই শূন্য পদে উপ নির্বাচনকে ঘিরে মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের পর বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) উপজেলা নির্বাচন অফিসে ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, ব্যবসায়ী আলী হোসেন ( ঘোড়া), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের পূত্র মাহমুদুল হাসান শুভ(মোটরসাইকেল), মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন (অটোরিকশা), সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হানিফ কবির ( আনারস) ও চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের স্ত্রী নারগিস মাকসুদ (টেলিফোন)।

বন্দর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রিয়াজ আহমেদ, ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও গত শুক্রবার ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। হলফ নামায় ত্রুটি থাকায় সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হানিফ কবির ও মাসুদ রানার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। হানিফ কবির আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। আগামী ২৭ জুলাই সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ইভিএম ভোট গ্রহন চলবে।

উল্লেখ্য, এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে মো. মাকসুদ হোসেন পদত্যাগ করে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চেয়ারম্যান পদ টি শুন্য হয়। এই উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মুল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে থাকবেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ ও ব্যবসায়ী আলী হোসেন এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে মুছাপুর ইউনিয়ন ভোটারদের মাঝে। তারা দু’জনেই প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা ও দোয়া চাইছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *