বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের মূল ফটকের দুই পাশেই গড়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটো স্ট্যান্ড। ফলে হাসপাতালে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেনা সেবা প্রত্যাশিরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও চরম উদাসিনতার কারণে দূভোগ পোহাতে রোগী ও স্বজনদের।

এদিকে হাসপাতাল থেকে মূল সড়কটি ১৫/২০ ফিট দূরত্ব হলেও মূল ফটকের দুই পাশের স্ট্যান্ডের কারণে মূল সড়ক থেকে আসা কোনো যানবাহন কমপ্লেক্সের ভেতর রোগী নিয়ে যেতে পারেন না চালক এবং রোগীরা। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ফলে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন না এখানে আসা রোগী ও তাঁদের
স্বজনেরা। এই দৃশ্য বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের অর্ধেক জায়গা দখল করে থাকে প্রায় শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটো স্ট্যান্ড । হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রোগী নিয়ে যেতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। গেটের বাহিরের পাশাপাশি মূল ফটকের ভিতরের দু’পাশে জায়গা দখল করে রেখেছে। রোগীর স্বজনরা জানান, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা হাসপাতালটি মেইন রোডের পাশে হওয়ায় গেটের সামনে এবং ভিতরে জটলা লেগেই থাকে। রোগী নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করাটা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িঁয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, সকালে হাসপাতালে আসলে মনে হবে এখানে হাট বসেছে। হাসপাতালের চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেখানে সেখানে রাখা হয় অটোরিকশা। এতে আমাদের চলাচলের অসুবিধা হয়।

অটো চালকরা জানান, গেইট খোলা থাকে যার জন্যই আমরা রোগী নিয়ে ভিতরে এসে পড়ি এবং রোগীরা বের হলে আমরা এখান থেকেই নিয়ে যাই। ভিতর থেকে গেইট লাগিয়ে দিলেই তো আমরা আর ঢুকতে পারি।
এবিষয় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ বেলায়েত হোসেনের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *