বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ড্রেজার ব্যবসায়ী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০)কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী শাহেনেওয়াজ ওরফে শাহানাজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী । আহত ড্রেজার ব্যবসায়ী মেহফুজজ্জামান সাদ বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতে থানার টহলরত পুলিশ জখমপ্রাপ্ত ড্রেজার ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বন্দর থানার কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত ড্রেজার ব্যবসায়ী স্ত্রী সিনথিয়া আক্তার বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী শাহ নেওয়াজসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ১৫/২০ জনেক অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনিন।
অভিযুক্তরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার ফকির চাঁন মিয়ার ছেলে হামলাকারি ও বন্দর থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী শাহ নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ তার ছোট ভাই সালাউদ্দিন একই এলাকার ইকবাল, একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে কালা জাহাঙ্গীর, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার কাদ্দার মিয়ার ছেলে বাবু, নবীগঞ্জ খন্দকারবাড়ি পুল এলাকার মৃত আলতাফ উদ্দিন মিয়ার ছেলে পাসপোর্ট বাবু,নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে রিফাত,নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম মিয়ার ছেলে রাজু, কুশিয়ারা এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে সুজন, নবীগঞ্জ মোল্লাবাড়ি এলাকার মৃত আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে ফয়সাল ও বন্দর যুগিপাড়া এলাকার হোসেন মুন্সি ছেলে রহিম হোসেন।
অভিযোগ ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও বাদিনী স্বামী
মেহফুজজ্জামান সাদ দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিবাদীগন বাদিনীর
পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা। বিবাদীদের সহিত বাদিনী স্বামীর ঘটনার পূর্ব হইতে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায়
বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০) কাজশেষে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় সময় বন্দর থানাধীন কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকা সকল বিবাদীগন তাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদিনী স্বামী চলার পথ গতিরোধ করে বিবাদীগন অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে।
১নং বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর বুকের ডান পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে। ২নং বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর মাথায় ঘাই মারিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করায় ডান হাতের কনুই এর নিচে গুরুত্বর রগ কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
৩নং আসামী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৪, ৫, ৬, ৭নং বিবাদী লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্তজমাট জখম করে। ৮ ও ৯নং আসামী আমার স্বামীর নিকট থাকা নগদ ৬৫,০০০/- টাকা ও একটি মোবাইল ফোন অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া নিয়ে নেয়। ১০ ও ১১নং বিবাদী আমার স্বামীর গলায় থাকা ০১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন মূল্য ১,৪০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নিয়ে নেয়।
আমার স্বামীর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আসিতে দেখিয়া বিবাদীগন আমার স্বামীকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন বন্দর থানার টহল পুলিশের সহায়তায় আমার স্বামীকে রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য বন্দর উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে উক্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।