বন্দর প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বন্দরের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে ১ প্লাটুন পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছে। বন্দর থানার এসআই ফয়েজের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সড়কে অবস্থান নেন। এসআই ফয়েজ জানান, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য সড়কে অবস্থান নিয়েছি। আমরা ২৪ ঘন্টা এ দায়িত্ব পালন করব।

মহাসড়কের বন্দরের মদনপুর আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কয়েক দিনের সহিংসতার ঘটনায় বন্দর থানায় ১৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত হাজারের অধিককে আসামী করে এসআই আহাদ বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, গত ১৮ জুলাই পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, পুলিশের উপর হামলা, সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুরের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৩২।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ মামলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফুলহর এলাকার যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ জানান, ছাত্রদের আন্দোলনেক পূঁজি করে জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমার অফিস ভাংচুর করে প্রাং ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর ও অবমাননা করেছে।

বন্দর উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি এম এ রশিদ জানান, আমরা এতদিন শান্তিপ্রিয় ভাবে রাজনীতি করছিলাম। কিন্তু জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের অফিস ভাংচুর, বঙ্গবণ্দুর ছাবি ধ্বংস ও অবমাননাসহ সরকারি স্থাপনা ভাংচুর করেচে। আমরা আর কাউকে ছাড় দেব না। এখন থেকে আমাদের
মিশন ডু আর ডাই। যে খানে পাব সেখানেই প্রতিহত করব। এদিকে কয়েক দিনের পরিস্থিতির কারণে থানায় এসে সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকে থানার গেইটে এসে ফিরে যাচ্ছে।

নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ কাউকে থানার ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীরাদেরও পুলিশ তথ্য দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ অনেকের। গতকাল বৃহস্পতিবার থানার সামনে একজন সেবাপ্রার্থী আলী হোসেন মোল্লাকে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সকালে থানার সামনে এসে বসে আছি। পুলিশ আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ওসিকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করছেন না। তাই দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে নিরুপায় হয়ে চলে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *