বন্দর প্রতিনিধি : বন্দরে ১৮ বছরের এক যুবতীকে রাস্তা থেকে তোলে নিয়ে হাত পা বেঁধে শ্লীলতাহানি পর আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করে। যার মামলানং- ৩০(২)২৪। মামলার আাসামীরা হলো ধর্ষক অয়ন (২৩) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মোহনপুরস্থ নিশং এলাকার বাসিন্দা ও ধর্ষনের সহয়তাকারি সিফাত একই ইউনিয়নের নরপর্দী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার নরপর্দীস্থ কুড়িয়াভিটা ব্রিজের ঢালে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষা জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ধর্ষনের ঘটনার পর থেকে লম্পট ধর্ষক অয়ন ও ধর্ষনের সহয়তাকারি সিফাত পলাতক রয়েছে।

মামলার বাদিনী পরিবারের তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় ভুক্তভোগী নারী ও তার ১৩ বছরের চাচাতো ভাই সিয়াম বন্দর উপজেলার নরপর্দীস্থ জনৈক হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে উৎপেতে থাকা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপর্দী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে সিয়াম উল্লেখিত যুবতী নারীকে পথরোধ করে জোর পূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা অটো গাড়িতে করে নরপর্দী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়।

পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন মিলে ওই নারীকে জোর পূর্বক ভাবে হাত পা বেঁধে পিরধানের জামা কাপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

পরবর্তীতে ভূক্তভোগী নারী গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়াস্থ চাচাতো বোনের বাড়িতে দাওয়াতে আসলে ওই সময় সিফাত ভূক্তভোগী নারী চাচাত বোনের মোবাইল ফোন করে তাকে নরপর্দী ব্রিজের সামনে আসতে বলে। ওই সময় ভূক্তভোগী নারী ব্রিজে আসবে না বলে জানালে এ ঘটনায় সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সম্মানের ভয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রিজের সামনে আসলে ওই সময় সিফাতের সাথে থাকা অয়ন ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জনের সহায়তায় লম্পট অয়ন ওই নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ- পরিদর্শক শওকত আলী জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষা জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *