বন্দরে বিভিন্ন প্রত্যেন্ত গ্রামে ডাকাত আতঙ্কে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে এলাকাবাসীদের সচেতন করতে শোনা যাচ্ছে প্রতি রাতে। এতে ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অনেকে।

গত ১২ আগষ্ট থেকে বন্দর থানায় পুলিশের কার্যক্রম শুরু হলেও কার্যত মাঠ পর্যায়ে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
শিক্ষার্থীদের ধারণা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য পুলিশ ও জনতার মধ্যে তৈরী হয়েছে বিভেদ। যার সুবিধা নিচ্ছে সমাজের অসাধু এক চক্র। এতে করে এলাকায় বাড়ছে চুরি ডাকাতি ও হামলার মত ঘটনা যা আতঙ্কের সৃষ্টি করছে সবাইকে। পুলিশ ও জনতার মধ্যে পূর্বের ন্যায় আস্থা ও ভরশা অর্জনে সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বিকালে স্কুল,কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বন্দরের সেলসারদী, মাধবপাশা, কল্যান্দি, আদমপুর এলাকায় জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন করে। উক্ত এলাকায় বসবাসরত সংখ্যালঘুসম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও তাদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও ভাঙচুর প্রতিরোধে সকলকে একত্রে থাকার আহŸান জানানো হয়। পাশাপাশি ঐ এলাকার মাদরাসার শিক্ষক, মন্দিরের পুরোহিত ও এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফাহিম বলেন, বর্তমানে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার,জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা জরুরী। স্বাধীনতা অর্জন থেকে রক্ষা করা কঠিন তাই সন্ত্রাস-,দূর্নীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে নিয়ে একত্রে কাঁধে কাঁধ,মিলিয়ে দেশ সংস্কারে অংশ নিতে হবে, তাহলেই আমাদের ভাইবোনদের আত্মত্যাগ বৃথা,যাবে না।

শিক্ষার্থীদের রক্তঝড়া আন্দোলন থেকে বর্তমানে চলা দেশ সংস্কারমূলক কর্মকান্ডকে সাধুবাদ,জানিয়েছে এলাকাবাসী। অন্যায়, দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রশাসনিক শুদ্ধি,অভিযানকে প্রশংসার চোখে দেখছেন এলাকার সাধারণ ব্যাক্তিবর্গ।,কলান্দি এলাকার মুন্না মিয়া বলেন ‘‘ আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী,আদায়ে সমর্থন করেছি এবং শিক্ষার্থী হত্যা দেখে আল্লাহ কর্তৃক ফায়সালার জন্য রোযা ও,রেখেছি, আজকে ওনাদের জন্য আমরা হাসপাতাল থেকে যেকোনে অফিসে গেলে স্বচ্ছ
নাগরিক সেবাটা পাচ্ছি সেজন্য কৃতজ্ঞ তাদের উপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *