বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে গৃহবধূ দিপালী রানী দাস (৪২) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাস (৫০)। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে তাকে হাজির করা হলে ওই সময় সে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

শ্যামা চন্দ্র দাস আদালতকে বলেন. পারিবারিক কলহের জেরে তিনি স্ত্রী দীপালীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় আহত শ্যামা চন্দ্র দাস ১০ দিন ধরে পুলিশি প্রহরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলেন। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১লা মার্চ শুক্রবার বন্দরের লেজারার্স এলাকার কাউসার মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে দীপালী রাণী দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সময় দীপালীর স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাসও আহত হন। কিন্তু অন্যকে ফাঁসাতে ও ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি প্রতিবেশীদের কাছে হত্যাকারী হিসেবে বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদার নাম বলে যান। ফলে কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুন জানান, হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে দীপালীর স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাসকে প্রথম দিকেই পুলিশের সন্দেহ হয়। এ জন্য হাসপাতালে তাকে পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়। রোববার তাকে হাসপাতাল থেকে আনা হলে প্রথমে পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে শ্যামা চন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *