বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ওয়ার্কশপ শ্রমিক আবু বক্কর (২১) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৫ আসামী মধ্যে নাদিম (২১) হত্যার দায় স্বিকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ জবানবন্ধী প্রদান করে। গত মঙ্গলবার (২০ জুন) রাতে বন্দর থানার উত্তর কলাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাদিম ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত সোমবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর কলাবাগস্থ জনৈক আব্দুল কাদির মিয়ার পুকুর থেকে আবু বক্করের মৃতদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৫টায় বন্দর ঝাউতলা কলাবাগস্থ নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই যুবক নিখোঁজ হয়।এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার (২০ জুন) রাতে নিহতের পিতা হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৪(৬)২৩ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।

থানা তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার এসআই আহাদুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর কলাবাগ ও ঝাউতলা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান কালে পুলিশ সম্প্রতি বন্দরে ওয়ার্কশপ শ্রমিক আবু বক্কর হত্যা মামলার আসামী নাদিম ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। পরে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, মামলার বাদীর ছেলে আবু বক্কর গত শনিবার (১৭ জুন) দুপুর ২টায় খাওয়া দাওয়া করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পরে। ওই দিন বিকেল ৫টায় আবু বক্কর বাসার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ রয়। পরবর্তীতে আবু বক্কর রাত ১০টায় বাড়ি ফিরে না আসায় বাদী ও তার বড় ছেলে ওমর ফারুক আশেপাশের সকল স্থানে খোজাখুজি করে আবু বক্করের কোন সন্ধান পায়নি।

এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় বাদী কাজের উদ্দেশ্যে রিক্সা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে বন্দর টিনের মসজিদের সামনে চায়ের দোকানে থাকাকালিন সময়ে শুনতে পারি উত্তর কলাবাগ এলাকার জনৈক আব্দুল কাদির মিয়ার পুকুরে অজ্ঞাত নামা লাশ পাওয়া গেছে।

খবর পয়ে রিক্সা চালক হারুন অর রশিদ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তার ছেলে আবু বক্করের মৃতদেহ বলে সনাক্ত করে। গত শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৫টা থেকে গত সোমবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে যে কোন সময়ে উক্তর কলাবাগ এলাকায় উল্লেখিত পুকুরে অজ্ঞাত আসামীরা পরস্পর যোগসূত্রে আবু বক্করকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যার পর লাশ গুম করে জন্য উল্লেখিত পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, আবু বক্কর হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বিজ্ঞ আদালত গত বুধবার দুপুরে রিমান্ড মঞ্জুর করলে মামলার তদন্তকারি কর্মকতার্ এসআই আহাদুজ্জামান রিমান্ড প্রাপ্তদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে নাদিম হত্যা্কান্ডের ঘটনা দায় স্বিকার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করে। হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *