(সাজীদ হোসেন কিবরিয়া)
৮ আগষ্ট সকাল ১০ টায় বন্দর উপজেলা পরিষদের কন্ফারেন্স রোমে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙ্গালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর সহ ধর্মিণী বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ বি এম কুদরত-এ খুদার সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসার মনিশা রানী কর্মকার,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুবকর সিদ্দিক।আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক, বন্দর থানা প্রেসক্লাব এর সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ সেন্টু, রেফারেন্স চ্যানেল এর চেয়ারম্যান মিতু মোর্শেদ,বন্দর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃফয়সাল আহম্মেদ,

বক্তারা বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য সময় সকলে ফজিলাতুন্নেছা জীবন বিক্তান্ত তুরে ধরেন বক্তারা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর সহ ধর্মিণী বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কথা বলে শেষ হবে না তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর পাশে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছেন এমন কি ১৯৭১ সালে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে জেলে আটক করে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয় তখন সকল কে বঙ্গ মাতা দিক নির্দেশনা দিয়ে ছিলেন এমন কি নিজের কানের দুল বিক্রি করে মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি কখনো তার স্বামী সন্তানদের চিন্তা করেনি চিন্তা করছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন, এমন কি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৭ মার্চের যে ভাষন দিয়েছেন তা দেবার কথা ছিলো লিখিত ভাবে কিন্তু বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তখন বুঝতে পেরেছিলেন ৭ মার্চের ভাষন লিখাটা যদি বঙ্গবন্ধু দেয় হয়তো তা বিপরীত হতে পারে তাই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে অনুরুধ করে ছিলেন যে আপনি আপনার নিজের করে ভাষন টি দিবেন লিখিত ভাষন দেবার প্রয়োজন নেই তখন বঙ্গবন্ধু তার সহধর্মিণীর কথা বুঝতে পেরে তিনি বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কথায় ৭ মার্চ রেককোর্স ময়দানে নিজের মতো করে ভাষন দিয়েছেন।

সেই দিনের ভাষন আজ বিশ্বের অন্যতম ভাষন হিসেবে সৃকৃতি পেয়েছে।বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বাংলাদেশ মানুষের কথা ভাবতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর মতো, বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না।১৯৭৫ সারে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার সহ ধর্মিণী বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কে ও হত্যা করা হয় সে সাথে পুরো পরিবারকে হত্যা করে নর পিশাচরা।

আজ হয়তো বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বেঁচে নেই কিন্তু তার আদর্শ তার অবদানের কথা বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ মনে রেখেছে। তার আদর্শ গড়া তারই মেয়ে আমাদের বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদশে কে মাথা উচু করে বিশ্বের দরবারে দার করিয়েছেন এবং বাংলাদেশ কে একটি সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন দিন রাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সোনার বাংলা তৈরি করার কাজ করছেন।

বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবেরসহ তার পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।সে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব,ও হাজ্বী লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এবং বন্দর উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *