নিজস্ব সংবাদদাতা:
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালাচ্ছে তুহিন নামের এক প্রতারক। দীর্ঘদিন ধরে সুতা ব্যবসার আড়ালে নানা ধরণের প্রতারণা করে আসছে এ-ই তুহিন।

তুহিন টানবাজার এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। টানবাজার মহিম গাঙ্গুলী সড়কে মেসার্স আয়শা এন্টারপ্রাইজের মালিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়।

প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী নোহেল আক্তার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুধু নোহেল আক্তার নন, আরও কয়েক ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তুহিন’র বিরুদ্ধে। এর আগে একবার চোরাই সুতা লেনদেনের ঘটনায় জেলেও যায় এ-ই প্রতারক।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগে নোহেল আক্তার উল্লেখ করেন- বিবাদীর সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে সুতা ও গার্মেন্টস মালামালের ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় গত একবছর ধরে সে আমার সঙ্গে কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রক্ষা করছে না। ইতিমধ্যে তার কাছে আমি ১৯ লাখ ৬২ হজার টাকা পাওনা হই। যার বিল-ভাউচার ও চেক সহ এর সম্পূর্ণ প্রমাণাদি রয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে বিবাদীকে পাওনাদি পরিশোধের জন্য তাগাদা দিলেও সে কোন কর্ণপাত করছে না। উপরন্তু সম্প্রতি সে টাকা চাওয়ায় উল্টো নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দেয়। নানা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এমনকি গুমের মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে- হুমকি দিচ্ছে। সম্প্রতি আমার অফিসে এসে বিবাদী তার সমন্ধিকে সঙ্গে নিয়ে এসেও অনুরূপ হুমকি দেয়। আমি নিয়মিত করদাতা নগরীর একজন পরিচিতি ব্যবসায়ী। বিবাদীর এমন হুমকিতে আমি আতঙ্কগ্রস্থ ও ভীত হয়ে পড়েছি। একদিকে আমার ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি অন্যদিকে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।

সাংবাদিকদের কাছে প্রথমে তার কাছে নানা ধরণের তথ্প্ আছে দাবী করলেও পরে টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তুহিন। তিনি বলেন- থানায় অভিযোগ দিলেই তো আর টাকা পেয়ে যাবে না।

তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *