হারুনুর রশিদ শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় যুদ্ধ অপরাধের মামলায় সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান তারা গ্রেফতার হয়েছে ।

জানাগেছে , ১৯৭১ সালে নকলা ইশিবপুর বড় মসজিদে নামাজ পড়ে থানার সামনে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় শাজাহান আলী উরফে সাজুকে পাক সেনারা ধরে নিয়ে তাকে হত্যা করে । লাশ চটের বস্তায় ভরে ইট বেধে স্ববর্নখালি নদীতে ফেলে দেয়।

এই ঘটনায় ২০১৬ সালে নিহত শাজাহানের ভাতিজা নকলা থানা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ সৈয়দ আলম মঞ্জু পাক সেনাদের সহযোগিতার দায়ে নকলা থানার নকলা হাজী জাল মামুদ কলেজের বাংলা বিষয়ক অধ্যপক আমিনুল ইসলাম ফারুক,কুর্শা গ্রামের ডাক্তার মো: এমদাদুল হক খাজা মিয়া , বিবিরচর গ্রামের তদকালিন কম্পিউটার অপারেটর টি এন্ড টি বোর্ড ও সাবেক মেয়র কুশাবাদাগৈড় এর বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন সরকারের পুত্র মোখলেছুর রহমান তারাকে আসামি করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলায় এমদাদুল হক খাজা মিয়া , আমিনুল ইসলাম ফারুক ও আক্রাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর মধ্যে দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পর ডাক্তার খাজা মিয়া পেরুলে বের হয়ে জামিন থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। আক্রাম হোসেন কারা ভোগ করার পর জামিনে রয়েছে । আমিরুজ্জামান ফারুক শুরু থেকেই কারাগারে রয়েছে। মোখলেছুর রহমান তারা ২০১৬ সালে মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলো।

২১ জুন বুধবার তারিখে ময়মনসিংহ সদর হেট কুয়ার্টার র‌্যাব ১৪ এর ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন মুক্তাগাছা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নকলা থানায় সোপর্দ করেন। জানাগেছে, বাদী পক্ষ সৈয়দ আলম মঞ্জু বলেছেন তার চাচা শাজাহানকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলো । ৪ দিনপর পঁচাগলা অবস্থায় বস্তাবন্দী থাকা লাশ স্বুবর্ণখালি নদী থেকে উদ্ধার করে কায়দা কবরস্থানে দাফন করে ।

আসামী পক্ষের ৪জনের মধ্যে মোখলেছুর রহমান তারা ও তার পরিবার দাবী করছে মোখলেছুর রহমান তারার জন্ম তারিখ ছিলো ৩১/১০/১৯৬০ এবং তার শিক্ষণীয় সকল সনদে বয়স নিবন্ধন করা আছে সেই বয়স অনুযায়ী ১০ বছর ২ মাস বয়স ছিলো । আমিনুজ্জামান ফারুকের বয়স ছিলো ১৪ বছর তখন তিনি জামালপুর জেলা স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন ।

উল্লেখ্য শামসুজ্জামান উরফে জামান মাষ্টার আমিনুজ্জামান ফারুকের পিতা যুদ্ধ অপরাধী ছিলো বিধায় তার পুত্র ফারুককে এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছিলো । বাদী বলেন আসামীরা প্রতুক্ষ্যভাবে তার চাচাকে পাকসেনাদের টর্চারে মেরে ফেলার জন্য বলে । আসামীদের দাবি আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেছুর রহমান তখন বয়সে কম ছিলেন ।

এই মামলায় ৩২জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ কেন্দ্রীয় যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইবুনালে গিয়ে স্বাক্ষ্য দিয়ে এসেছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *