ষ্টাফ রিপোর্টারঃ একজন জনপ্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,বিদেশ থেকে উড়ে এসে চেয়ারম্যান হয়েছেন। আপনার বাপের সম্মানে দেওয়া হয়েছিলো। আপনাকে বলি খোঁচাখোঁচি করবেন না। উল্লেখ্য করে নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, শয়তান মানুষের পিছনে লেগেই থাকে। আমি বলব আমাদের পরে শামিম ওসমানের অগ্রাধিকার। ধমগড়ে এসে মনে হচ্ছে আমার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন হয়েছে। আমাদের ইউনিয়নে কোন কাঁচা রাস্তা থাকবে না। আমাদের এলাকায় কোন শিক্ষার অভাব থাকবেনা কেউ কেউ খোচা দিবে। কে কি বলল কান নাই। নির্বাচন তোমাদের করতেই হবে। পরিবর্তন হতেই হবে। আমি দান করি না। আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি সরকারি টাকায় খরচ করে বলি না আমি করে দিলাম। মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী ও এটা বলে না। তিনি বলেন আমরা করে দিলাম। আরেকজন বলেন আমি এটা করে দিলাম। যেটা করে দিয়েছে। তা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় হয়। এতে আপনি বাধ্য। যাই উন্নয়ন হয় একজনই করেন সেটা হচ্ছে প্রধাণমন্ত্রী। রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই। বেশি উড়বেন না, আমাকে মুখ খুলতে বাধ্য কইরেন না। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান আছে। একজন মারা গেছে। জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো সফল করতে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এ চেয়ারম্যানদের পুনরায় আমার দরকার। যেকোন প্রতীকে হোক। প্রতীক কোন বিষয় নয়, আমার প্রয়োজন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে শক্তিশালী করা।
বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের সর্ব সাধারনের উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়নগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
শুক্রবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুকুলদাশের বাগ মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আরো বলেন, ইউনিয়ন নির্বাচন আরো ৪/৫ মাস বাকি। বর্তমান চেয়ারম্যানদের নিয়ে আমি কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস পুনরায় তারা চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়ন এলাকাগুলো সিটির মত না হলেও কোন অংশে কম হবে না। কোন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় একটিও কাঁচা রাস্তা থাকবে না। শিক্ষা ব্যবস্থার আরো ব্যপক উন্নয়ন হবে। ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্যোশে বলেন নির্বাচনের আরো সময় আছে। আমি সেলিম ওসমান বললেই আপনারা নির্বাচিত হবেন না। বিগত সময়গুলোতে জনগনের কাছে যদি কোন ভুল করে থাকেন তাহলে ঘরে ঘরে গিয়ে ক্ষমা চান। কারন জনগন সকল ক্ষমতার উৎস। তাদের ভোটেই আপনারা চেয়ারম্যান হয়েছেন এবং পুনরায় হতে চাইলে তাদের ভোটই লাগবে। পরিশেষে তিনি ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদকে পুনরায় সুযোগ দেয়ার জন্য আহবান জানান।
এড. খোকন শাহ বক্তব্য দিতে গিয়ে নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে উদ্যোশে বলেন নারায়নগঞ্জে একজন কালো মোটা মহিলা আছে তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন সেলিম ওসমান এমপি অন্যের টাকায় দান করে। সেলিম ওসমান পরে টাকায় দান করে দানবীর হয়নি। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সেলিম ওসমান একজন মুরগী বিক্রেতা ছিলেন। সেলিম ওসমান এমপি মাছ ও গরুর খামারের টাকায় সংসার চালায় আর বিশাল একজন ব্যবসায়ী তার আয়ের টাকা জনগনের উন্নয়নে ব্যয় করেন। ব্যাক্তিগত শত শত কোটি টাকা দিয়ে জনগনের উন্নয়ন করছেন। তিনি আরো বলেন, চুলকায়, চুলকাবেন না বেশি ভাল হবে না। কথায় কথায় বলেন বরিশালে পাঠিয়ে দিবেন, বাদলকে চাঁনপুর পাঠিয়ে দিবেন ভাল। হিন্দু সম্পত্তি দখল করবেন আবার মুখে বড় বড় কথা বলবেন চলবে না। আইভীর আত্বীয় স্বজনদের ২২/৮ -৭৯ নং ৬ টি দলিলে দখলে নিয়েছেন। প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়েছেন, আবার বলেন বাড়ির ইট খুলে নিবেন। তাই বলি চুলকালে মলম দিতে সময় পাবেন না। জনগন আপনাকে চাঁদপুর সাপের চর পাঠিয়ে দিবে। সেলিম ওসমানকে নিয়ে কথা বলেন কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে আপনাকে নৌকা প্রতীক যে দিয়েছে তার প্রায় ২ বছর পূর্বে সেলিম ওসমানকে জননেত্রী শেখ হাসিনা লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব দেন। এটা বুঝার ক্ষমতা নেই। এখনও সময় আছে জনগনের কাছে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেত্রী কাছ থেকে নমিনেশন আনেন ইনশাল্লাহ আমারা কাজ করে বিজয়ী করে আনবো।
চন্দন শীল বলেন, আমার কষ্ট হয় আপনাদের পরিবার( আইভী) নিয়ে কথা বলতে। ৭১ সালে আপনার পিতা যুদ্ধে যাননি কেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চাইতে আপনার পিতাকে দেখা যায়নি। ওই সময় হাসান জামালের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। সেকারনে আপনাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন মাওলানা লোকমান খান আজাদী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড.খোকন শাহ, এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল, জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি মূলক কমিটির আহবায়ক ও বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানা উল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক আকরাম আলী শাহীন,মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন।
বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশিদের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আলী হায়দার কাজল, নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ও মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ১৯ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালাম, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্মাদক আলহাজ্ব গাজী আলীনুর, ২৭ নং ওর্য়াড জাতীয় পার্টির নেতা আমির হোসেন, শফিউল্লাহ, মিনহাজ উদ্দিন, মুকবুল হোসেন, জাফর, অনিক তালুকদার অপু প্রমুখ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *