আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি;

ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ। এতে কোটা আন্দোলকারী সাধারণ সাংবাদিকসহ পুলিশ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠ) মাঠ থেকে কোটা আন্দোলনকারী বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তায় গেলে অপরদিকে অবস্থান নেওয়া জেলা ছাত্রলীগ, যুবকলীগ, কৃষি লীগ ও সেচ্ছাসেববক লীগের নেতাকর্মীরা ক্রিকেট স্টিক, বাশ ও কাঠের লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারীদের বেধরক মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েক জন আহত হন।

পরে আবার কোটা আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হয় ও কোটা সমন্বয় করার জন্য শ্লোগান দেন। সেখান থেকে তারা আবার একটি মিছিল বের করে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চৌরাস্তার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কয়েক দফা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন।

অপরদিক থেকে আবার ছাত্রলীগের, যুবলীগ, কৃষি লীগ, সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ দুই গ্রুপকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা শান্ত না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।

এসময় বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুই গ্রুপের ছোড়া ইটপাটকেলে কোটা আন্দোলনকারী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সহ অন্যান্য কলেজ ও বিদ্যালয়ের প্রায় প্রায় ৫০ জন ছাত্র আহত হন। এছাড়াও মেয়ে শিক্ষার্থী ১১ জন, দুই জন সাংবাদিক, দুই জন পুলিশের মধ্যে একজন সদর থানার পুলিশের কর্মকর্ত আহত হন। এছাড়াও জেলার সাবেক ছাত্রলীগের অন্তত ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পরে আবার কোটা আন্দোলনকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কাট খড় জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে থাকে। এতে শহর জুড়ে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *