মোহাম্মদ এরশাদুল হক,লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ১৭ নং খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমুল থেকে উঠে আসা তৎকালীন সময়ে জামাত শিবির কতৃক বার বার নির্যাতনের শিকার,জেল জুলুমের শিকার,ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা,আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এম বেলাল আজাদ নৌকার মাঝি হতে চান এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও চান এই নেতা নৌকার মনোনয়ন পাক। বেলাল আজাদের পিতা মোহাম্মদ বকসু সওদাগর (সাবেক এমইউপি) মুকিযোদ্ধের সংগঠক ও খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । বড় ভাই ডাঃ মোহাম্মদ হোসাইন চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৮৬ সালে নবম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৮৮ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন,১৮৮৯ সালে বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সন পর্যন্ত চট্টগ্রামের লোহাগাড়াস্থ বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৯৪ সালে আওয়ামী যুবলীগ খুটাখালী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন,এরপর ১৯৯৬ সাল হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন, ২০১২-১৯ পর্যন্ত নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন, সর্বোপরি বর্তমানে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বরত এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

এম বেলাল আজাদ বলেন,আমি
খুটাখালী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এবং কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন পরিচালনা পরিষদের দু’বারের নির্বাচিত সদস্য। খুটাখালী কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও বর্তমানে দায়িত্বরত আছি।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯০ এর গনঅভ্যুত্থানে পুলিশ কর্তৃক নির্মম লাঠিচার্জের শিকার হয়ে কারাবন্দী ছিলাম।
১৯৯২ সালে বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে জয় বাংলার স্লোগানরত অবস্থায় জামাত শিবির ক্যাডার কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার শিকার হই, যাহা এখনো পর্যন্ত আমার পুরো শরীরে বিদ্যমান রয়েছে । জোট সরকারের আমলে চকরিয়া পৌর শহরে বিএনপি কর্তৃক হামলার শিকার হই।

আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বরত অবস্থায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে খুটাখালী ইতিহাসের প্রথম প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয় করি। বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে নৌকার প্রার্থীর জন্য প্রানপণ কাজ করি, নির্বাচন করি।

এক কথায় আমার পুরো পরিবার খুটাখালীতে আওয়ামী পরিবার হিসেবে পরিচিত সবকিছু মিলিয়ে নেত্রী যদি নৌকার মনোনয়ন দেন তো এলাকাবাসীর কল্যানে নিজের জীবন উৎসর্গ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *