বোরহান মেহেদী, পলাশ (নরসিংদী)

রাত পোহালেই শিল্পশহর ঘোড়াশাল পৌরসভার নির্বাচন ২ নভেম্বর মঙ্গলবার। নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছিলো রাস্তাঘাট, অলিগলি ও মহল্লা। ছেঁয়ে গিয়েছিলো পোস্টার আর ব্যানারে চারিদিক। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছুটেছিলেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিয়েছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিও। এখন চলছে শেষ মুহুত্যের হিসাব নিকাশ। আর এই পৌর নির্বাচনে রয়েছে শান্তি প্রিয় পৌরবাসী ভোটারদেরও হিসাব বিচক্ষন দৃষ্টি।

রাত পোহালেই নির্বাচন হবে। ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার। এবার ঘোড়াশাল পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন তিনজন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার (নৌকা প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কায় ইকরাম হোসেন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল প্রতীকে লড়ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক তানজিরুল হক রনি। মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার ও বিদ্রোহী প্রার্থী তানজিরুল হক রনির মধ্যে। তারা দু’জনই এবার নতুন প্রার্থী।

আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার শ্রমিক লীগ নেতা মরহুম মোশারফ হোসেনের ছেলে। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল থেকে তার নাম কেন্দ্রীয়ভাবে না গেলেও নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল আশরাফ খান পোটন ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রে তার নাম প্রস্তাব করেন। এদিকে তৃণমূল থেকে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চেয়ে বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল হকের নাম প্রস্তাব করা হয়। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত না নিয়েই দলের একটি পক্ষ তুষারের নাম না পাঠিয়ে এককভাবে শরিফুলের নাম কেন্দ্রে পাঠায়।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তানজিরুল হক রনি পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম হাসানুল হকের ছেলে। আরো মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ইলিয়াস। পরে কেন্দ্রীয়ভাবে দল আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করে।

আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার জানান, সাধারণ মানুষের একজন প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে ভোটাররা এবার মেয়র হিসেবে তাকে বেছে নিবে বলে আশা করছেন। উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নে ৯টি ওয়ার্ডের সব ভোটার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তানজিরুল হক রনি জানান, জনগণ নিরাপদভাবে ভোট দিতে পারলে মোবাইল মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আবার জয়ের আশা করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী ইকরাম হোসেনেরও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *