আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকার নিচু এলাকার প্রায় ৮০টি চর-দ্বীপচরে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয় পড়েছে। অনেকে পার্শ্ববর্তী চরে ও নৌকায় আশ্রয় নিচ্ছে। এতে দ্বিতীয় ধাপে একটি স্বল্প মেয়াদী বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ও দুধকুমার নদে বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। যার ফলে জেলায় দ্বিতীয় ধাপে স্বল্প মেয়াদী বন্যা দেখা দেবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলমান। ৪শ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেদিকে প্লাবিত হচ্ছে আমরা সেদিকেই নজর রাখছি। আকস্মিক এ বন্যায় উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *