আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। পানি কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে চরাঞলের বানভাসী মানুষের মধ্যে।২৪ জুন দুপুর পর্যন্ত প্রত্যেকটি পয়েন্টে পানি অনেকটা কমেছে।কিন্তু নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে আর এক দুচিন্তায় চরাঞলবাসী।

তবে এখনও দুর্ভোগ কমেনি চরাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষদের। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বলছে, ধরলা ছাড়া কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি কমছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া ও চিলমারী গেজ স্টেশনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে।ধরলা ও তিস্তা নদীর পানিও কমেছে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪-২৫ জুন থেকে পানির সমতল হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বন্যার সম্ভাবনা নেই বলে পাউবো প্রকাশিত পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, নদ-নদীর পানি কমছে। সার্বিক অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সহায়তা বিতরণ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। যেভাবে নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সেটা স্বাভাবিক।

নদ নদীর পানি কমার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
পাউবো কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বন্যা সতর্কীকরণের পূর্বাভাস অনুযায়ী সমতলে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

এদিকে পানি কমার সাথে সাথে চরাঞলের জেগে ওঠা এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।উলিপুর উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদ বেষ্টিত সাহেবের আলগা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার ইউনিয়নের ভাঙ্গন রোধের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *