ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।

আজ কলকাতার নিউ টাউন এলাকার নারকেল বাগান মোড় থেকে তোলা বাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ভূয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী তারক মন্ডল কে।

তার সাথে গ্রেপ্তার করা হয় তার ভূয়া সিকিউরিটি সহ গাড়ির ড্রাইভার কে। আজ তাদেরকে তোলা হবে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত জেলা পুলিশের আদালতে। বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতার বুকে একের পর এক ভূয়া আই পি এস এবং ভূয়া আই এ এস ও ভূয়া সিবিআই অফিসার ও ভূয়া আয়কর অফিসার ও ভূয়া আমলা ও পুলিশ অফিসার ধরা পড়ার পর আজ কলকাতার বুকে এই রকম একটি ভূয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের লোগো লাগানো চার চাকার গাড়ি সহ ভূয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পরিচয় দেওয়া শ্রী তারক মন্ডল কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে লেকটাউন থানাতে নিয়ে আসে।

তাদের কাছ থেকে ভূয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের জাল প্যাড ও ভূয়া জাল রবার স্টাম পাওয়া যায়। ধৃত ব্যাক্তিদের কাজ ছিল বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে রেহাই করে দেওয়া হবে বলে টাকা নিত। এবং বিভিন্ন ঝামেলার জন্য তারা মানবাধিকার কমিশনের দ্বারা সাহায্য করে দেবে বলে টাকা নিত।

এবং প্রোমোটারি কাজ করে বহু মানুষ এর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। আজ কলকাতার বুকে নিউ টাউন এলাকার নারকেল বাগান মোড়ে একটি ভূয়া নেম প্লেট ব্যবহার করা ইনোভা চার চাকার গাড়ি কে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নাম দেওয়া গাড়ি কে সন্দেহ জনক ভাবে দেখতে পান।

তখন পুলিশ তাদের কে চ্যানেল করে এবং গ্রেপ্তার করার পর জানতে পারে এদের সাথে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কোন যোগ নেই। কারণ এমন নেম প্লেট ব্যবহার করতে একমাত্র ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও পশ্চিম বাংলার মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ব্যবহার করে।

কিন্তু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এমন গাড়ি কারো ব্যবহার করতে দেয়না। এবং ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের লোগো কেউ ব্যবহার করলে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ধরা হবে বলে ভারতের বিভিন্ন যায়গায় ডি এম ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন। তার সত্ত্বেও ভারতের বিভিন্ন যায়গায় ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নাম করে বিভিন্ন এন জি ও ভূয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের নাম প্লেট ব্যবহার করে চলেছে।

যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের ও ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ও পশ্চিম বাংলার মানবাধিকার কমিশনের সাথে যুক্ত নয়। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ ও পশ্চিম বাংলার পুলিশ প্রশাসন এমন ভূয়া তামাকা ওলা ব্যাক্তি ও গাড়ি কে ধরার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *