বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে বৌবাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রঘাতে উপর পক্ষের ২ জন রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের মা রিনা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সোহাগ ও ইয়াসিনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে।
যার মামলা নং- ৯(৭)২৩ ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) রাত ৯টায় বন্দর বাসস্ট্যান্ডস্থ নিলা জুয়েলার্স এর সামনে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলো বন্দর নূরবাগ এলাকার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে রিয়াদ (২৮) ও একই এলাকার খোবন মিয়ার ছেলে রাজন (২৫)। ওই সময় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী আহতদের কাছ থেকে ২টি স্বর্ণের আ্ংটি, ২টি রুপার চেইন, নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মধ্যে রিয়াদকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ও তার বন্ধু রাজনকে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর জখম রিয়াদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে প্রেরণ করে। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। । এ ঘটনায় উল্লেখিত এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলার আসামীরা হলো বন্দর নূরবাগ এলাকার আব্দুল জাব্বার মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী সোহাগ (২৮) বন্দর হাফেজীবাগ কলোনী এলাকার অকিল মিয়া ছেলে ইয়াসিন (১৯) বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার গান্ধি মিয়ার ছেলে উজ্জল (৩৮) নূরবাগ এলাকার আক্কাছ মিয়ার ছেলে শফিকুল (২৭) বন্দর জামাইপাড়া এলাকার মোক্তার মিয়ার ছেলে লিমন (২৭) নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে হাবিব হাসান (২৮) বন্দর বউ বাজার এলাকার অলি মিয়ার ছেলে হোসেন (৩৫) বন্দর ঠাকুরবাড়ী এলাকার পনু মিয়ার ছেলে সবুজ (২৫)।
মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর বউবাজার ইজারা নিয়ে নূরবাগ এলাকার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে রিয়াদের সাথে একই এলাকার আব্দুল জাব্বার মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী সোহাগ ও বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার অকিল মিয়ার ছেলে ইয়াসিনসহ উল্লেখিত আসামীদের সাথে দর্ীঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত রোববার রাত ৯টায় বাদিনী ছেলে রিয়াদ ও তার বন্ধু রাজন বন্দর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নিলা জুয়েলার্সের সামনে আসলে ওই সময় সন্ত্রাসী সোহাগ, ইয়াসিন, উজ্জল, শফিকুল ও লিমন তাদের দেখে গালমন্দ করতে থাকে। ওই সময় রিয়াদ ও তার বন্ধু উল্লেখিতদের গালামন্দ করতে বাধা নিষেধ করিলে ওই সময় ১নং বিবাদী সোহাগ, ইয়াসিন, উজ্জল, শফিকুল, লিমন, হাবিব হাসান, হোসেন ও সবুজসহ অজ্ঘাত নামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রিয়াদ ও তার বন্ধু রাজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারি হত্যার উদ্দেশ্যে রিয়াদ ও রাজনকে বেদম ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে স্বর্ণের আংটি, রুপার চেইন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক গনমাধ্যমকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সন্ত্রাসী হামলায় ২ যুবক আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।