নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২২নং ওয়ার্ডে বন্দর থানাধীন লেজারাস আবাসিক এলাকার ৪নং গলিতে ছুরিকাঘাতে ৪ কন্যা সন্তানের জননী দিপালী রানী (৪০) নামে এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিহত গৃহবধূর স্বামী শ্যামা চরন দাস (৫২) ও-ই একই ঘটনায় গুরুত্বতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়- ২৯ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে পাশের একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরপর ১ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার পর তারা তাদের ভাড়া বাসার নিজেদের ঘরে প্রবেশ করে। বিয়ের অনুষ্ঠান হতে ক্লান্ত অবস্থায় ফিরলে ঘরের আলো বন্ধ অবস্থায় খাটে শুয়ে পড়ে। তাদের সে-ই ঘরে খাটের পাশেই তাদের মা দিপালী রাণী ও বাবা শ্যামা চরন দাস ঘুমন্ত অবস্থায় শুয়ে ছিলেন। সকালে আনুমানিক ৭ টার পর তাদের এক প্রতিবেশী দরজা ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করলে, ও-ই দুই বোন মনি ও অথৈ প্রায় ৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকার পর ঘুম ভাঙলো। অতঃপর মায়ের রক্তাক্ত দেহ নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখে। পাশাপাশী তার বাবাকেও রক্তাক্ত অবস্থায় গোঙ্গাতে দেখতে পায়।
এ-ই ঘটনায় বিষয় বিস্তারিত বলতে গিয়ে নিহতের মেয়ে পলি আরও জানান- তাদের কাছ থেকে বাড়িওয়ালা এক মাসের ঘর ভাড়া পাবেন। সে-ই ঘর ভাড়ার পাওনা টাকা ও রান্নার বিষয় কেন্দ্র করে ও-ই বাড়ির দায়িত্বে থাকা ফরিদ ও তার স্ত্রী ফরিদা’র সঙ্গে তার মায়ের দুই দিন আগে কথা কাঁটা-কাঁটি হয়। হয়তো বা সে-ই রেশ ধরে তারা আমার মা-বাবাকে হত্যা করতে পারে৷ অলৌকিকভাবে বাবা প্রাণে বেঁচে যায়, তবে গুরুতর আহত অবস্থায়।
এ-ই ঘটনায় বন্দর থানা পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফরিদা ও তার পুত্র সিয়ামকে আটক করেছে।
ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান- হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামী যে-ই হউক, তাকে আমরা দ্রুত আইনের আওতায় আনবেন। ইতিমধ্যে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বামী গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার জবানবন্দি নিয়ে বিস্তারিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।